পুজো মণ্ডপের ফিতে কাটছেন অরবিন্দ মেনন
কলহার মুখোপাধ্যায়: মুকুল রায়কে লুচি আর আলুর দম খাওয়ানো দিয়ে শুরু হয়েছিল বৃত্তটা। তা যেন সম্পূর্ণ হল গণেশ পুজোর উদ্বোধনে মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষ ও অরবিন্দ মেননকে নিয়ে গিয়ে। সল্টলেকের বিধায়ক ও প্রাক্তন পৌরপ্রধান সব্যসাচী দত্তের বিজেপিতে যোগদান যে শুধুই সময়ের অপেক্ষা তা ফের প্রমাণ হল সোমবার! যখন সল্টলেকের সিএফ ব্লকে সব্যসাচী দত্ত পরিচালিত গণেশ পুজোর উদ্বোধন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্যান্ডেলের ফিতে কাটলেন কেন্দ্রীয় নেতা ও রাজ্যের দলীয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়ও।
প্রতিবছর ওই এলাকায় গণেশ পুজো করেন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। তবে এবারের পরিস্থিতির সঙ্গে কোনও মিল নেই সেগুলির। মুকুল রায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য মেয়র পদ হারিয়েছেন। কিন্তু, এখনও তৃণমূল ছাড়েননি। আবার এবারের পুজো মণ্ডপ তৈরি করিয়েছেন পদ্মফুলের ধাঁচে। অনেকটা যেন ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’। সোমবার দিলীপ ঘোষ-সহ অন্য বিজেপি নেতাদের পুজো মণ্ডপে যাওয়া নিয়ে যেমন যুক্তি দিলেন, সল্টলেকের আবাসিক মুকুল রায় তাঁদের ক্লাবের সদস্য। প্রতিবারই এই পুজোয় আসেন। আর দিলীপবাবু-সহ অনেককেই কার্ড পাঠিয়ে নিমন্ত্রণ করেছেন। তার মধ্যে যে কেউই আসতে পারেন। তিনি সারদা বা নারদার টাকায় পুজো করেন না। তাই পুলিশের ভয়ও নেই। তিনি আরও বলেন, ‘আজকে পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসেবে খারাপ লাগছে। কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরকে শান্ত করে দিল, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ শান্ত হল না। কেন্দ্রীয় সরকারের দেখা উচিত, কীভাবে বাংলায় শান্তি ফেরে।’
এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও জানান, সব্যসাচী পুজোতে আসার জন্য বলেছিলেন। নিজে গিয়ে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। তাই এসেছেন। আমন্ত্রণ জানালে সুব্রত মুখোপাধ্যায় কিংবা সুজিত বসুর পুজোতেও যাবেন।
মুকুল রায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় সব্যসাচীকে হেনস্তা করা হচ্ছে। আমার তো আশঙ্কা হচ্ছে, পুজোয় আমাদের ডাকার জন্য ওর বিরুদ্ধে মমতা না আবার মামলা করেন।’ সব্যসাচীর পাশাপাশি আজও অর্জুন সিংয়ের উপর হামলার জন্যও মমতা দায়ী করেন তিনি। রবিবারের মতোই অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘অর্জুন সিংকে খুন করতে চেয়েছিলেন মমতা। তাই তাঁকেই প্রথম গ্রেপ্তার করা হোক।’
দেখুন ভিডিও :
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.