রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ফের শহরে অমিত শাহের সভা ঘিরে তৈরি হল জটিলতা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই এই নিয়ে অশান্তির আবহ ধর্মচলা চত্বরে। প্রথমে শহিদ মিনারে রোড-শো শুরু করা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় বিজেপির। আর তারপর লেনিন সরণিতে বিজেপির ফ্লেক্স ছেঁড়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়েন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ঘটনায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে লেনিন সরণি।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই অমিত শাহের সভার জন্য বিজেপি কর্মীরা জমায়েত শুরু করেন শহিদ মিনার চত্বরে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ জানিয়ে দেয়, ওই জায়গা থেকে রোড শো করার অনুমতি নেই। বিজেপি মেট্রো চ্যানেল থেকে রোড শো শুরুর অনুমতি নিয়েছিল। তা গ্রাহ্য হয়েছে। কিন্তু পুলিশের এই বক্তব্য মানতে নারাজ বিজেপি কর্মীরা। এই নিয়ে শুরু হয় চাপানউতোর। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। অবশেষে সিদ্ধান্ত হয়, ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেল থেকে শুরু হবে রোড শো। শেষ হবে বিবেকানন্দ রোড ক্রসিংয়ে।
[ আরও পড়ুন: চাইতে হবে ক্ষমা, শর্তসাপেক্ষে জামিন মুখ্যমন্ত্রীর বিকৃত ছবি পোস্টে ধৃত বিজেপি নেত্রীর ]
সকালের এই সমস্যা মিটতে না মিটতেই ফের রোড শো ঘিরে দেখা দিল জটিলতা। অমিত শাহের রোড শো উপলক্ষে লেনিন সরণির দুই ধার সাজানো হয়েছিল একাধিক ফ্লেক্স দিয়ে। ছিল মোদি, অমিত শাহ, রাহুল সিনহার নামাঙ্কিত ফ্লেক্স। কিন্তু রোড-শো শুরু হওয়ার আগেই সেগুলি কার্যত ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের দাবি, সরকারের সম্পত্তির উপর ফ্লেক্সগুলি লাগানোয় সেগুলি খুলে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই ফ্লেক্স খোলা হয় বলেও দাবি করে পুলিশ৷
গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কৈলাসের দাবি, নির্বাচন কমিশনের কোনও অফিসারকে ঘটনাস্থলের কোথাও চোখে পড়েনি। গোটা ঘটনাটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে করেছে বউবাজার থানার পুলিশ। রাজ্যজুড়ে মমতার ‘গুণ্ডাগিরি’ চলছে, এই অভিযোগে সরব হন তিনি৷ বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, জায়গায় জায়গায় ফ্লেক্স ছিঁড়ে দিচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। বাধা দিতে গেলে মারধর করতেও কসুর করছে না তারা।
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। তিনি বলেছেন, এর আগে তো অনেকবার তৃণমৃল কংগ্রেসের সভা হয়েছে। তখন তো ফ্লেক্স দেওয়া হয়েছে।আবার সভা, মিটিং-মিছিল শেষ হলে ফ্লেক্স খুলে নেওয়া হয়। সেটাই দস্তুর। অথচ এখন বিজেপির সভার ক্ষেত্রে উলটো পথে হাঁটা হচ্ছে। অনুমতি থাকা সত্ত্বেও পতাকা, ফ্লেক্স সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এর আগে সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারে মঞ্চ তৈরি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কৈলাসের বচসা হয়। নিয়মবহির্ভূতভাবে সেখানে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল বলে দাবি করে পুলিশ। যদিও কৈলাসের দাবি, সেখানে কোনও সভামঞ্চ তৈরি করা হয়নি।
[ আরও পড়ুন: মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে, বিজেপি নেত্রীর গ্রেপ্তারিতে প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুললেন মা ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.