রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কুমারগঞ্জের কিশোরীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার ঘটনায় জড়িত তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু, তারপর থেকেই মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ বিজেপির। দুদিন আগে এর প্রতিবাদে কলকাতার রাস্তায় মিছিলও বের করেন বিজেপির মহিলা ও যুব মোর্চার সদস্যরা। সোমবার বিকেলে ফের এই বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর কথা ছিল মহিলা মোর্চার। তাই বিকেলে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ও হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি মশাল মিছিল বের করা হয়।
মুরলীধর লেনের রাজ্য অফিস থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল ওই মিছিলের। কিন্তু, রাজ্য অফিস থেকে বেরিয়ে কিছুটা যাওয়ার পরেই CR অ্যাভিনিউতে ওই মিছিলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। তাদের অভিযোগ ছিল, বিজেপির মহিলা মোর্চার তরফে এই মশাল মিছিলের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তাই আর এগোতে দেওয়া হবে না। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড ধস্তাধস্তিও হয়। কিছুক্ষণ এই অবস্থা চলার পর রাস্তার ওপর বসে পরেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মহিলা মোর্চার সদস্যরা। পুলিশ তাঁদের মশাল নিভিয়ে মিছিল করার কথা বলেও তাঁরা শোনেনি বলে অভিযোগ।
যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। উলটে এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করলেও নিজের রাজ্যের অরাজকতা নিয়ে চুপ রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিদিন এ রাজ্যের মহিলারা নির্যাতিত হচ্ছেন। গণধর্ষণের শিকার করছেন। কিন্তু, আমরা এর প্রতিবাদে মিছিল করার অনুমতি নিলেও তা করতে দেওয়া হচ্ছে না। আজকে বিভিন্ন বিষয়ে যখন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বিশিষ্টরা মোমবাতি মিছিল করেন তখন পুলিশ বাধা দেয় না। ওদের যত সমস্যা আমাদের মশাল মিছিল। তবে এভাবে আমাদের দমানো যাবে না। যখনই কোনও নারীর ওপর অত্যাচার হবে তার প্রতিবাদ আমরা করবই।’
এই মিছিলের আগে রাজ্য অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে হওয়া ধর্ষণের ঘটনার CBI তদন্তের দাবিও করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার দোষীদের বাঁচানোর জন্য নির্যাতিতার পরিবারকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছিল বলেও অভিযোগ জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.