সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে ফের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে জেরা সিআইডি’র। শনিবার ভবানীভবনে টানা চার ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। রবিবার সকালে ফের তাঁকে ভবানীভবনে ডেকে পাঠানো হয়। পুরভোটের আগে ষড়যন্ত্র করে বারবার তাঁকে জেরা করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ সাংসদের।
গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে খুন হন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। খুব কাছ থেকে তাঁর মাথায় গুলি করে আততায়ীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তা সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা সত্যজিৎ বিশ্বাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই উদ্ধার হয় খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। ঘটনায় সরাসরি বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে তৃণমূল। জানানো হয় এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে বিজেপি। অভিজিৎ পুণ্ডারি নামে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিধায়ক খুনের দায়িত্বভার সিআইডি’র হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকার। এরপরই তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারি, নির্মল ঘোষ, সঞ্জীব মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ধৃতরা প্রত্যেকেই বিজেপির সক্রিয় কর্মী। যদিও ধৃতদের নিজেদের দলের কর্মী বলে মানতে নারাজ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এরপরই তদন্তে উঠে আসে নদিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি জগন্নাথ সরকারের নাম। এফআইআরেও নাম ছিল তাঁর।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যাবে না বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে। তারই মাঝে একাধিকবার বিজেপি সাংসদকে ডেকে পাঠায় সিআইডি। বিধায়ক খুনের ঘটনায় আদৌ তাঁর কোনও যোগসাজশ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে শনিবার প্রায় চার ঘণ্টা জেরা করা হয় বিজেপি সাংসদকে। রবিবারও জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। পুরভোটের আগে ষড়যন্ত্র করেই বারবার তাঁকে জেরা করা হচ্ছে বলেই জানান বিজেপি সাংসদ। আদালতের উপর আস্থা রয়েছে বলেও দাবি তাঁর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.