রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ফের আমফানের (Amphan) ত্রাণের দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। জানালেন, একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, করোনা (Corona Virus) সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করলেন বিজেপি সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে বললেন, “শুধু মুখে বলে করোনা আটকানো যাবে না, কাজও করুন।”
বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোখুখি হন দিলীপ ঘোষ। জানান, ত্রাণে দুর্নীতি-সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে তিনি চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রীকে এক দেশে এক রেশন কার্ড নীতিকে সমর্থন জানাতে বলেছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধা-অবসুবিধার দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। মৎস্যজীবীদের ১০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন সাংসদ। পাশপাশি অভিযোগ করেছেন যে, স্কুলে যে মিড ডে মিল দেওয়া হচ্ছে সেখানে নিম্ন মানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। এরপরই দিলীপবাবু বলেন, “আমফানের ক্ষতিপূরণে কেন্দ্রের পাঠানো হাজার কোটি টাকার বেশিরভাগই তৃণমূলের লোকের হাতে চলে গিয়েছে।” “তৃণমূলের শাসনকালে কমেছে দুর্নীতি”, মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পালটা দিতে এদিন সিপিএমের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ। বলেছেন, “কোনও সিপিএম নেতা তো জেল খাটেননি। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিও তো দিদির আমলেই!” পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধিতে কেন্দ্রের কিছু করার নেই বলেই এদিন জানিয়েছেন সাংসদ। কেন্দ্রের বেসরকারিকরণ নীতির কারণেই সংস্থাগুলো বাঁচছে এমন মন্তব্যও করেন তিনি।
এরপরই করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, লকডাউন কঠোরভাবে মানা হয়নি রাজ্যে। তাই সংক্রমণ বেড়েছে। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রীরাই লকডাউন মানেননি প্রথম থেকে। বারবার রাস্তায় বেরিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কথা মেনে আমরা তো তিনমাস বাড়িতেই ছিলাম। কিন্তু পরে ওদের জন্য বেরতে হয়েছে। যদিও এখন আমরা আর বের হচ্ছি না।” বৈঠক থেকে এদিন ফের দিলীপ ঘোষ বলেন, পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণ করতে সরকারের কড়া হওয়া প্রয়োজন। নিয়ম ভাঙলে পুলিশ ব্যবস্থা নিক। তবেই একমাত্র মোকাবিলা করা যাবে এই পরিস্থিতিকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.