রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: “কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক তথ্য দিক রাজ্য সরকার”, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থামতেই মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। রাজ্য সরকারের তরফে বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতির প্রাথমিক যে হিসাব দিয়েছেন, তা বিশ্বাস যোগ্য নয় বলেই মনে করছেন তিনি। কটাক্ষের সুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বললেন, “ঝড় আসার আগেই মনে হয় ক্ষয়ক্ষতি ঠিক করে রাখা হয়েছিল!”
দিলীপ ঘোষ বুধবার বলেন, “১৩৪ টি বাঁধ নাকি ভেঙে গিয়েছে বলা হচ্ছে। জানি না এই হিসাব কোথায় পেয়েছেন। আর আয়লার পরে বাঁধ কতটা পাকা হয়েছিল তা জানা নেই।” তখন কাজ হলে তাহলে এত বাঁধ ভাঙল কী করে? প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের। ঘূর্ণিঝড়ের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে প্রথম থেকেই রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী, এই অভিযোগও করলেন দিলীপ। তাঁর প্রশ্ন, আমফানের (Amphan) পর কত ম্যানগ্রোভের চারা লাগানো হয়েছে?
কেন্দ্রের তরফে কেউ ফোন করেছিল কি না মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত হিসাবে এ সময়ে দেখা উচিত নয়। রাজ্য-কেন্দ্রীয় এজেন্সি একসঙ্গে কাজ করেছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন বক্তব্যে খুশি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “উনি সমন্বয় চান জেনে ভাল লাগছে।” দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, স্বস্তির বিষয় এবার আমফানের মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে উপকূলবর্তী এলাকায়, পূর্ব মেদিনীপুর, কাকদ্বীপ, নামখানা, সুন্দরবনে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা সবরকম সহযোগিতা করছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান নিজে যোগাযোগ রাখছেন, খোঁজ খবর নিচ্ছেন। বিজেপির কর্মী, বিধায়করা ইতিমধ্যেই নিচু এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় শিবিরে সরিয়ে নিয়ে গেছেন। শুকনো খাবার, গুঁড়ো দুধ, ত্রিপলের ব্যবস্থা করেছেন কর্মীরা। কতো কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দলের তরফে পর্যালোচনা করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেবো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.