Advertisement
Advertisement

Breaking News

BJP

দলত্যাগী মুকুলকে PAC চেয়ারম্যান হিসেবে মানতে নারাজ, বিধানসভায় সমস্ত পদ ছাড়ছে বিজেপি

মঙ্গলবার এ নিয়ে রাজভবনে নালিশ জানাতে যাবেন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বাধীন দল।

BJP MLAs will leave chairman posts of all committee in Bengal Assembly as protest of Mukul Roy being PAC chairman | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 12, 2021 12:59 pm
  • Updated:July 12, 2021 4:00 pm  

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত ও রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: অর্ধশতাব্দীর প্রথা ভাঙা হয়েছে। বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (PAC) চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল রায়কে। শুক্রবার এই ঘোষণার পরই প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াকআউট করেছিলেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। জানিয়ে দিয়েছিলেন, সমস্ত কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বিরোধীরা। কারণ, তাঁদের অভিযোগ অনুযায়ী, বিধানসভায় বিরোধী হিসেবে বিজেপির ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে এই সংক্রান্ত নালিশ জানাবেন বিজেপি বিধায়করা। দিতে পারেন ইস্তফাপত্রও।

বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি ও হাউস কমিটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই শাসক-বিরোধী টানাপোড়েন চলছিল। বিরোধীদের দাবি ছিল, ১৫টি কমিটির চেয়ারম্যান পদ। ১০টির বেশি ছাড়তে রাজি হয়নি শাসক শিবির। সিদ্ধান্তে অনড় ছিল বিরোধীরাও। তবে দু’পক্ষের মধ্যে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে। চেয়ারম্যান কে হবেন, তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়। এই কমিটির জন্য ছ’জন বিধায়কের নাম পাঠায় গেরুয়া শিবির। সেখানে মুকুল রায়ের নাম ছিল না। এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, মুকুল রায় যেহেতু বিজেপিরই বিধায়ক, তাই তাঁকেই চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হবে। বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন তা কার্যকরও করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভোররাতে হাওড়ার তুলোর গুদামে অগ্নিকাণ্ড, শাটার ভেঙে আগুন নেভাতে হিমশিম দমকল কর্মীরা]

এরপর প্রতিবাদ আরও চরমে উঠেছে। বিধানসভায় এই মুহূর্তে বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বিজেপির মিহির গোস্বামী, মনোজ টিগ্গা, নিখিলরঞ্জন দে, অশোক কীর্তনীয়া-সহ বেশ কয়েকজন। তাঁরা সকলেই পদ ছেড়ে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিধানসভায় আসবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে বসে পদত্যাগপত্রের বয়ান চূড়ান্ত হবে। তারপরই তাঁরা চিঠি নিয়ে যাবেন রাজভবনে (Rajbhaban)। রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানাবেন। বিজেপির এই স্ট্র্যাটেজি শাসকদল কীভাবে সামলায়, এখন সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

[আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম বললে সস্তায় পাব?’, পেট্রল পাম্পে গিয়ে বিজেপিকে খোঁচা কুণালের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement