বিজেপির বিক্ষোভে উত্তাল বিধানসভা। নিজস্ব চিত্র।
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও নব্যেন্দু হাজরা: রাজ্যে নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চেয়েছিল বিজেপি। সেই প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। তাদের আবেদন মঞ্জুর না হওয়ায় অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে এসে গেটের সামনে বসেন বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়করা। এর মাঝে তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন বিরোধী দলনেতা। পালটা দিলেন তৃণমূল নেতাও।
রাজ্যে নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চেয়েছিল বিজেপির পরিষদীয় দল। মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় আলোচনা চেয়ে স্পিকারের কাছে আবেদন জানায় তাঁরা। বিজেপি বিধায়কদের পক্ষে প্রস্তাব পাঠ করেন অগ্নিমিত্রা পাল। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সরকারকে অনুরোধ, আইনশৃঙ্খলা সংবেদনশীল বিষয়। রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে আলোচনা হয়নি। স্বরাষ্ট্রদপ্তরের বাজেট আলোচনা গিলোটিনে গিয়েছে। আলোচনার জায়গা কোথায়?” তাঁর আর্জি ছিল, অন্য মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়ে স্বরাষ্ট্রদপ্তরের আলোচনা হোক। বিরোধী দলনেতার এহেন মন্তব্যের মাঝেই তৃণমূল বিধায়করা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
জবাব দিতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্যের হাত থেকে আইনশৃঙ্খলার অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য তিন ফৌজদারী আইন করা হয়েছে। রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চলছে।” পালটা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল বিধায়করা। এদিকে অধিবেশ কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এর মাঝে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্তার অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা।
বিধানসভার অলিন্দে শুভেন্দুর সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন পূর্বস্থলীর তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতার দাবি, সেই সময় তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছেন। বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে হেনস্তাও করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “বিজেপি বিধায়কদের কিছু হলে দায়ী থাকবেন স্পিকার।” পালটা তপনবাবু বলেন, শুভেন্দু তাঁকে ‘চোর’ বলেছেন। মেয়ের মাধ্যমিকের নম্বরের প্রসঙ্গ তুলে খোঁচাও দেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষই স্পিকারকে চিঠি দিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় হেয়ারস্ট্রিট থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.