ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হয়ে গিয়েছে। বরং কিছুটা অপরাধবোধেই ভুগছেন বোধহয়। তাই তো বিজেপি (BJP) ত্যাগের পর প্রায়শ্চিত্ত করে তবেই যোগ দিতে চান তৃণমূলে। এমনটাই জানাচ্ছেন ত্রিপুরার (Tripura) বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস। তিনি এই মুহূর্তে রয়েছেন কলকাতায়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই কালীঘাটে আদি গঙ্গার ঘাটে প্রায়শ্চিত্ত করলেন। তারপর মহালয়ায় যোগ দেবেন ঘাসফুল শিবিরে। আর আশিস দাসের এই যোগদান বিপ্লব দেব সরকার তথা ত্রিপুরার বিজেপি শিবিরে বড়সড় ধাক্কা নিঃসন্দেহে।
চলতি মাসের প্রথমেই কলকাতায় (Kolkata) এসে তৃণমূল ভবনে দেখা করেছিলেন আশিস দাস। তিনি আরএসএস ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। শনিবার বিজেপি বিধায়কের এহেন ‘তৃণমূল প্রীতি’ ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্বের কপালের ভাঁজ চওড়া করেছিল। এবার আশিসবাবু দলকে আরও বড় ধাক্কা দিতে চলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এতদিন ধরে বিজেপি করার প্রায়শ্চিত্ত করবেন বলে মনস্থির করেছেন। একেবারে গঙ্গার ঘাটে গিয়ে মন্ত্র পড়ে, যজ্ঞ করে এই কাজ করেছেন তিনি। এ থেকেই স্পষ্ট, এতদিনকার দলের প্রতি তিনি কতট বীতশ্রদ্ধ।
উল্লেখ্য, আশিস দাস দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি করছেন। আরএসএস ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তিনি। বিজেপির বিক্ষুব্ধ বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনেরও কাছের মানুষ তিনি। এই অবস্থায় তাঁর তৃণমূলে যোগদান নিঃসন্দেহে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সব ঠিক থাকলে বুধবার, মহালয়ার দিনই রাজনৈতিক জীবনের নতুন কেরিয়ারের পথে পা রাখছেন আশিস দাস।
এমনিতেই ত্রিপুরায় সংগঠন শক্তিশালী করার পথে স্থির লক্ষ্যে এগোচ্ছে এ রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নেতৃত্বে একটি টিম তৈরি হয়েছে এর দায়িত্বে। দলের ছাত্রনেতারা সেখানকার মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে। আর স্বভাবতই বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় তৃণমূলের শক্তি বিস্তারে বারবার বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিষেকের মিছিলে পুলিশের অনুমতি মেলেনি বারবার। তবে সুরমার বিজেপি বিধায়ক কিন্তু একটু বেসুরো হচ্ছিলেন আগে থেকেই। বিপ্লব দেবের ‘আদালত অবমাননা’ নিয়ে মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন আশিসবাবু। এবার তিনি দলই ত্যাগ করছেন। ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে।