নব্যেন্দু হাজরা: কথা গিয়ে কথা রাখেনি বিজেপি (BJP)। পাহাড়ের মানুষের প্রয়োজন, চাহিদা, দাবি – এসব নিয়ে কেউ ভাবেনি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর বারবার পাহাড়বাসীর দাবি নিয়ে সরব হওয়ার চেষ্টা করেও পারেননি। এবার তাই নিজের দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে বিধানসভার (Assembly) বাইরে এককভাবে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন কার্শিয়াংয়ের (Karseong) বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। তাঁর দাবি, গোর্খাল্যান্ড ইস্যু তৃণমূল বা বিজেপির নয়, এটা পাহাড়বাসীর বিষয়। আর পাহাড়বাসীর কথা না শুনলে কোনও রাজনৈতিক দলই টিকতে পারবে না।
এই প্রথম নয়, এর আগে একাধিকবার গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবি তুলে সমালোচিত হয়েছেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক। একুশের বিধানসভা ভোটে জেতার কয়েকমাস পরই পৃথক রাজ্যের দাবিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে (JP Nadda) চিঠিও পাঠিয়েছিলেন বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। তাঁর দাবি ছিল, যথাযথ উন্নয়নের জন্য পৃথক রাজ্য প্রয়োজন। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে গোর্খা (Gorkha) জনজাতি নিজের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। এর পরেও বেশ কয়েকবার তিনি গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে সুর চড়িয়েছেন।
শুক্রবার বিধানসভার বাইরে আম্বেদকর মূর্তি পাদদেশে তাঁকে একাই অবস্থানে বসতে দেখা যায়। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি হতাশার সুরে জানান, ”রাজ্য সরকারকে অনেকবার এই ইস্যু নিয়ে বলেছি। কেউ কানে তোলেনি। এই প্রথম দলের বিধায়ক হয়ে আমি কেন্দ্র সরকারের কাছে বলতে চাইছি। আমাদের অনেকেই দিল্লিতে গিয়ে ধরনা করেছেন। গোর্খাদের মহিলা মোর্চারাও দিল্লিতে যাবেন। আমি বারবার এখানে আমার সুর তুলতে চাইছি পাহাড়বাসীর হয়ে। কিন্তু বিধানসভায় আমার কথা শোনাই হচ্ছে না। আমি বলতে চাই, গোর্খাল্যান্ড কোনও তৃণমূল, বিজেপির ইস্যু নয়। এটা পাহাড়বাসীর ব্যাপার। আমি তো তাঁদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের প্রতিকার করতে চাই।” তবে কি এবার দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ‘একলা চলো’ আন্দোলনেই নামবেন? এতে বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদের জবাব, সেটা সময়ই বলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.