নিজস্ব চিত্র।
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘যৌনগন্ধী’ মন্তব্যের প্রতিবাদে পথে বিজেপি। অনন্যার গ্রেপ্তারির দাবিতে নিউ মার্কেট থানায় এফআইআর দায়ের করল রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা (BJP Minority Cell)। শুধু তাই নয়, রাস্তায় নেমেও অনন্যার ওই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা।
এদিন হাজরা মোড় থেকে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের প্রতিনিধিরা। কিন্তু পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। আটক করা হয় রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান চার্লস নন্দী-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি (BJP) কর্মীকে। যা নিয়ে সরব বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য টুইট করে কর্মীদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, ‘যেভাবে বাংলার পুলিশকে ব্যবহার করে কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটা লজ্জাজনক।’ চার্লসের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)।
কলকাতা পুরসভার বাজেট অধিবেশনে বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে খ্রিস্ট ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাদার ও নানের যৌন সম্পর্কের ‘গল্প’ শোনান তিনি। যা নিয়ে তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক। তিনি বলেছিলেন, “বিদেশে ওপেন সেক্স প্রচলিত।” এর পরই গল্প বলতে শুরু করেন অনন্যা। বলেন, “একদিন এক ফাদার গাড়ি করে চার্চে যাচ্ছিলেন। অল্পবয়সি সুন্দরী নান তাঁর কাছে লিফট চান। গাড়িতে ফাদার নানের শরীর স্পর্শ করছিলেন। তখন নান বলেন, ‘আপনি আর্টিকল ১১২ পড়েননি?’ তা শুনে হকচকিয়ে যান ফাদার। চার্চে এসে বাইবেলের আর্টিকল ১১২ পড়ে দেখেন। সেখানে লেখা, ‘গভীরে যাও। আরও গভীরে যাও। তবেই অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছতে পারবে।’ মরাল অফ দ্য স্টোরি, বাইবেলটা ঠিকমতো পড়া থাকলে তিনি নানকে ক্লু দিতে পারতেন। অর্থাৎ বাইবেল হোক বা মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট, যে কোনও কিছু ঠিকমতো পড়া না থাকলে অসুবিধা।”
তৃণমূল কাউন্সিলরের মন্তব্য নিয়ে হইচই পড়ে যায়। শুরু হয় বিতর্ক। বিজেপির কাউন্সিলরের পাশাপাশি দলীয় সংখ্যালঘু কাউন্সিলরদের নিন্দার মুখে পড়েছিলেন অনন্যা। বুধবার তাঁর প্রতিবাদে পথে নামে বিজেপি। কিন্তু বিজেপি কর্মীদের আটক করল পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.