Advertisement
Advertisement

Breaking News

Panchayat Election

Panchayat Election: প্রার্থী দিতে না পারলে বাম-কংগ্রেসকে সমর্থন! ভোট ঘোষণার পরই জেলাস্তরে কৌশল বিজেপির

ভোট ঘোষণার পরদিনই দিল্লি উড়ে গেলেন শুভেন্দু।

Panchayat Election: BJP likely to support CPM, Congress in Panchayat Election 2023 in lack of candidate | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 9, 2023 12:24 pm
  • Updated:June 9, 2023 2:55 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) ঘোষণা হয়েছে, মনোনয়ন পত্র তোলাও শুরু হয়ে গিয়েছে। শাসকদল কার্যত গোটা রাজ্যের প্রার্থী তালিকা তৈরিও করে ফেলেছে। আর এসব এত দ্রুততার সঙ্গে হয়েছে, যে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব কার্যত অপ্রস্তুত। পঞ্চায়েতে রাজ্যের ৭৪ হাজার কেন্দ্রে যে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব নয়, সেটা ভালমতোই বুঝ্রতে পারছে বিজেপির (BJP) জেলা নেতৃত্ব। তাই আগেভাগেই যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হবে না, সেই আসনগুলিতে অন্য বিরোধী দলকে সমর্থনের বার্তা পাঠিয়ে দেওয়া হল জেলাস্তরে।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ভোট ঘোষণা করতেই রাজ্য বিজেপির তরফে জেলাস্তরে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে শাসকদল যদি হুমকিও দেয় তাও যত বেশি সম্ভব আসনে প্রার্থী দিতেই হবে। কীভাবে মনোনয়ন জমা দিতে হবে, কী কী লাগবে, সবটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলাস্তরে প্রতীক বিলির দায়িত্ব ছাড়া হয়েছে জেলা নেতৃত্বের উপরই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৮ জুলাই একদফায় রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট, দিনক্ষণ জানালেন নির্বাচন কমিশনার]

কিন্তু কোনওভাবেই যে সব আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব নয়, সেটা ভালই জানে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, যেখানে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারবে না, সেখানে তৃণমূলকে হারাতে অন্য দলের প্রার্থী বা নির্দল প্রার্থীর পাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। অর্থাৎ, তৃণমূলকে হারাতে বাম এবং কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনে আপত্তি নেই বিজেপির। সূত্রের খবর, দু’এক দিনের মধ্যে রাজ্য নেতৃত্বে বৈঠকে বসবে। সেখানে পরবর্তী বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে প্রচার, বৈঠক, সভা, দেওয়াল লিখনে জোর দিতে বলা হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। এদিকে ভোট ঘোষণার পরদিনই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‌

[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি বিরোধীদের, রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখার বার্তা কমিশনারের]

বস্তুত এত দ্রুততার সঙ্গে ভোট ঘোষণা এবং মনোনয়ন দেওয়ার জন্য এত কম সময় দেওয়ায় রীতিমতো অখুশি বিজেপি নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের মৃত্যু হল। সর্বদল বৈঠক নেই, নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আলোচনা নেই, অথচ দিন ঘোষণা হয়ে গেল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তৃণমূলের আঞ্চলিক শাখার মতো আচরণ করছে।” বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যও (Amit Malvya) টুইট করে বলেছেন, “মাত্র ৬ দিন ৪ ঘণ্টা করে মনোনয়ন দেওয়ার সময়সীমা। অথচ, মনোনয়ন দিতে হবে প্রায় ৭৪ হাজার আসনে। এর চেয়ে বিনা ভোটে ফলাফল ঘোষণা করে দিতে পারতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” যদিও তৃণমূল বলছে, ভোট হচ্ছে যথাসময়ই। আসলেই বিরোধীদের প্রার্থী নেই। সেকারণেই যত আপত্তি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement