রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: এবার ‘শহিদ’ তর্পণ নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতে বিজেপি। গতবারের মতো এবছরও ‘শহিদ’ তর্পণের আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। কারণ, পুলিশ জানিয়ে দেয় অনুমতি না থাকায় কোনওভাবেই তর্পণ অনুষ্ঠান করা যাবে না। খুলে দেওয়া হয় মঞ্চ। অন্যদিকে, নিজেদের অবস্থানে অনড় বিজেপি। এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বললেন, ‘মহরমের কথা ভেবে লকডাউন করেন, আর তর্পণে বাধা দেন’।
করোনার কারণে ভিড় এড়াতে চলতি বছরে বুধবার বিজেপির ‘শহিদ’দের নামে তর্পণ করা হবে ঠিক করা হয়েছিল। তৈরি হয়েছিল মঞ্চ। কিন্তু অনুমতি নেই তা জানিয়ে মঙ্গলবার রাতেই মঞ্চ খুলে দিতে বলে পুলিশ। ঘাটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এই পরিস্থিতিতে বুধবার সকালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ৩২ বিজেপি কর্মীর পরিবার হাজির হয় বাগবাজার ঘাটে। সেখান থেকে তাঁরা দলীয় কার্যালয়ে চলে গেলেও গোটা এলাকা ঠিক একইভাবে ঘিরে রাখে পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই এই অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে, বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠান হবেই।
এদিন বাগবাজার ঘাটে যান বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অরবিন্দ মেনন, মুকুল রায় (Mukul Roy), রাহুল সিনহা। পুলিশ বাধা দেওয়ায় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান অরবিন্দ মেননরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় সম্পাদক সৌরভ সিকদার বলেন, “শহিদদের জন্য তপর্ণের আয়োজন করা হয়েছে। সমস্ত অনুষ্ঠানের মতো পুলিশ আজও বাধা দিচ্ছে। কিন্তু অনুষ্ঠান হবেই।” উল্লেখ্য, এদিন বাগবাজার ঘাটে অনুমতি না মেলায় গোলাবাড়ি ঘাটে তপর্ণ করানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.