রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাংলায় দলের রথযাত্রা কর্মসূচির প্রস্তুতি দেখতে কলকাতায় এলেন অমিত শাহর ঘনিষ্ঠ গুজরাটের দুই শীর্ষ নেতা অমিত ঠক্কর ও প্রদীপ বাঘেলা। ঘনিষ্ঠ দুই নেতাকে পাঠিয়ে রথযাত্রার প্রস্তুতি কতটা হয়েছে তা আগাম দেখে নিতে চাইছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। শুধু প্রস্তুতি দেখাই নয়, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রথযাত্রা কর্মসূচি বাংলায় কতটা প্রভাব ফেলবে তার একটা আগাম চিত্রও বুঝে নিতে চান ঠক্কর-বাঘেলারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে এসে রাজ্য বিজেপির দপ্তরে বৈঠকও করেন তাঁরা। বৈঠকে ছিলেন রাজ্য বিজেপির তরফে রথযাত্রার অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
[মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় ঢোকার অনুমতি পেলেন না সব্যসাচী দত্ত!]
লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে জনসংযোগের ভিতকে আরও মজবুত করতে এবং নিজেদের সাংগঠনিক শক্তির প্রদর্শনে ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে রথযাত্রা কর্মসূচি। ৫ ডিসেম্বর তারাপীঠ থেকে বেরবে প্রথম রথ। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে অমিত শাহর। এরপর ৭ ডিসেম্বর কোচবিহার এবং ৯ ডিসেম্বর কাকদ্বীপ থেকে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় রথযাত্রার সূচনা হবে। এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে একাধিক হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা আসছেন। বঙ্গে বিজেপির এই প্রথম রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে বিশ্লেষণও। বিজেপির সঙ্গে শাসক শিবিরের বাকযুদ্ধও চরমে। রথযাত্রাকে ঘিরে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও।
দলীয় সূত্রে খবর, বাসের মতো দেখতে হবে তিনটি মূল রথ। একেবারে অত্যাধুনিক বাস। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। বাসের উপরে ভাষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে। ইন্টারনেট পরিষেবা থাকবে। ফেসবুক লাইভ ও অন্যান্য কাজের জন্য থাকবে ল্যাপটপ। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসার জন্য ওষুধের আলাদা কাউন্টার থাকবে। থাকছে কেবিন ও বায়োটয়লেট। এছাড়া, রথের গায়ে জায়ান্ট স্ক্রিন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে মোদি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে তথ্যচিত্র দেখানো হবে। সম্ভবত দিল্লি থেকেই আসছে বাসগুলি। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, খুবই সাধারণ মানের রথ। জরুরি পরিষেবাগুলিই থাকবে।
[জেহাদি নিশানায় আরএসএস শাখা, উত্তর ভারতে সক্রিয় জঙ্গি মুসা]
এনআরসি ইসু্যতে এ রাজ্যে কিছুটা হলেও চাপে বিজেপি। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় এই এনআরসি নিয়ে কিছুটা ধীরে চলো নীতিতেই এখন এগোতে চাইছে গেরুয়া শিবির। দলীয় সূত্রে খবর, রথযাত্রা কর্মসূচিতে বাংলায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালে নাও আসতে পারেন। কারণ অসমে এনআরসি ও বাঙালি হত্যার বিষয়টি নিয়ে বাংলা-সহ সারা দেশেই প্রতিবাদ হচ্ছে। এই পরিস্থিতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী দলীয় কর্মসূচিতে পশ্চিমবঙ্গে এলে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.