Advertisement
Advertisement
Dilip Ghosh

ফের সক্রিয় আদি কর্মীরা, গোষ্ঠীকোন্দল ভুলে দলের শক্তি বাড়াতে দিলীপেই আস্থা বিজেপির

উনিশের লোকসভা ভোটে দিলীপের নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপি সংগঠিতভাবে লড়ে সর্বাধিক আঠারোটি আসন পেয়েছিল। তারপর দিলীপকে কার্যত কোণঠাসা করা হয় বঙ্গ বিজেপিতে।

BJP leaders Dilip Ghosh works to stop party's inner clash
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 23, 2024 9:16 am
  • Updated:December 23, 2024 9:30 am  

স্টাফ রিপোর্টার: নিচুতলায় সংগঠনের হাল খারাপ। যার প্রভাব পড়ছে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে। পাশাপাশি একের পর এক নির্বাচনে হতাশাজনক ফল ছাব্বিশের আগে চিন্তায় রেখেছে বঙ্গ বিজেপিকে। এর মধ্যেই দলের পুরনো নেতা-কর্মীদের বড় অংশ এখনও নিষ্ক্রিয়। আদি-নব্য দ্বন্দ্বে পুরনোরা ব্রাত্য বঙ্গ বিজেপিতে। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দলের আদি শিবিরকে ফের মাঠে নামাতে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপরই ভরসা করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারণ, উনিশের লোকসভা ভোটে দিলীপের নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপি সংগঠিতভাবে লড়ে সর্বাধিক আঠারোটি আসন পেয়েছিল। তারপর দিলীপকে কার্যত কোণঠাসা করা হয় বঙ্গ বিজেপিতে। দলের পুরনোদের সক্রিয় করে তুলতে ফের দিলীপ ঘোষকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছে বলে খবর।

দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একাধিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির দুই পুরনো মুখ সায়ন্তন বসু ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সুকান্ত মজুমদারের আমলের আগে দিলীপের টিমের দুই প্রধান সেনাপতি ছিলেন এই সায়ন্তন-রাজু। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের একাংশ সায়ন্তনকে দূরে সরিয়ে দেয় দল থেকে। আর রাজুকে তো দলীয় বৈঠকে বা কর্মসূচিতে ডাকাই হয় না বলে খবর। তবে শুধু সুকান্ত- রাজুরাই নয়, উনিশের লোকসভা ভোটের সময় বিজেপির সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া প্রাক্তন রাজ্য সহসভাপতি রাজকমল পাঠক-সহ একাধিক প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে আবার সক্রিয় করে তুলতে চাইছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। সদস্য সংগ্রহ অভিযানেও দিলীপ ঘোষকে নিয়মিত নামতে বলা হয়েছে। আর দিলীপও তাঁর সেই পুরনো স্টাইল চায়ে পে চর্চার পাশাপাশি সদস্য সংগ্রহে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

Advertisement

উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেই সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে নামানো হয়েছে মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদকে। ক’দিন আগেই জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে ঝাঁপিয়েছিলেন দিলীপ। তারপর আলিপুরদুয়ার ও শিলিগুড়িতেও তিনি সদস্যতা অভিযান করেন। পশ্চিম মেদিনীপুরজুড়েও নামানো হয় তাঁকে। গোটা রাজ্যজুড়েই সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেছেন দিলীপ ঘোষ। জল্পনা, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে দিলীপ ঘোষের মতো বিজেপিতে জনপ্রিয় ও কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতাকে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সেটা রাজ্য সভাপতি হয়তো নাও হতে পারে। তবে সম্ভাব্য নয়া রাজ্য সভাপতির তালিকায় দিলীপ ঘোষের নামও রয়েছে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। এদিকে, ধাপে ধাপে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বদলের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। জানুয়ারি থেকেই বুথস্তর থেকে শুরু হচ্ছে সাংগঠনিক নির্বাচন। বুথ, মণ্ডল, জেলা সভাপতি নির্বাচন হবে। ৩১ জানুয়ারির পর রাজ্য সভাপতি নির্বাচন। স্টেট রিটার্নিং অফিসার দীপক বর্মন, মধুছন্দা কর, মলয় সিনহা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement