Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘দিদি ও দিদি’র থেকে বেশি ক্ষতি ‘বারমুডা’ মন্তব্যে! মোদি-দিলীপকে একযোগে আক্রমণ তথাগতর

শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করলেন তথাগত।

BJP leader Tathagata Roy slams Narendra Modi and Dilip Ghosh | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:November 3, 2021 5:47 pm
  • Updated:November 3, 2021 6:09 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। লাগাতার দলত্যাগে ক্রমশ বেড়েছে তাঁর আক্রমণের ঝাঁজ। এবার রাজ্যের ভোটে এই পরিণতির জন্য প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি অর্থাৎ দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) সরাসরি আক্রমণ করলেন তথাগত। ইঙ্গিতে কাঠগড়ায় তুললেন খোদ মোদিকে।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের আক্রমণের তীব্রতা আরও বেড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি দাবি করেছিলেন, দলবদলু তৃণমূলীরা নয় বরং বিজেপির আদি নেতারাই লোকসভা নির্বাচনে ১৮ টি আসন এনে দিয়েছিল বিজেপিকে। এবার বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য সরাসরি মোদি ও দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করলেন তথাগত। লিখলেন, “সুর করে দিদি-দিদি ডাকায় যা ক্ষতি হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে মমতাকে বারমুডা পরতে বলায়। কারণ এর মধ্যে অশ্লীল ইঙ্গিত আছে। ‘বারমুডা’ কথাটা বোধ হয় নতুন শেখা হয়েছিল। নিচুস্তরের মাস্তানির সুরে “পুঁতে দেব”, “শবদেহের লাইন লাগিয়ে দেব”, এই সব কথাতেও প্রভূত ক্ষতি হয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আন্দোলনবিমুখ’ কংগ্রেস শক্তি হারাচ্ছে, বিকল্প মমতাই! ‘জাগো বাংলা’য় ফের তোপ তৃণমূলের]

বিজেপি নেতার লাগাতার এই আক্রমণ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই দলের অন্দরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। টুইটারে সে বিষয়ে মন্তব্য করেছেন তথাগতও। বলেন, “আমি প্রকাশ্যে বিজেপি নেতাদের নিন্দা করেছি বলে কেউ কেউ মর্মাহত হয়েছেন। কিন্তু নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে একটি কথাও বলিনি। দলের ভিতরে বলেছি। কিন্তু নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পরে যখন দেখা গেল কোনও বিশ্লেষণের চেষ্টা নেই, উলটে “৩ থেকে ৭৭” বলে নিজেদের পিঠ চাপড়ানো হচ্ছে, তখন বলতেই হল।” তবে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা অন্য নেতাদের কটাক্ষ করলেও শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করেছেন তথাগত।

ভোটে হার, লাগাতার দলত্যাগ বিজেপির অন্দরে কার্যত ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। ঠিকই একইভাবে ভোটের আগে দলত্যাগীদের ঘরে ফেরানোয় অসন্তোষ তৈরি হয়েছে তৃণমূলের একাংশের মনেও। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূল গ্রহণ করায় শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কেউ কথা রাখেনি। মঙ্গলবার ব্যঙ্গ করে তিনি বলেছিলেন, “শুভেন্দু রাগ করিস না ভাই, অনেক কুকথা বলেছি। কবে তুই-ও ফিরে আসবি, আমার থেকেও বেশি, দলের নেতাদের কাছের হয়ে যাবি!” এতেই স্পষ্ট সাংসদের অভিমান।

[আরও পড়ুন: TMC in Tripura: ৫১ জনের মধ্যে ২৫ জনই মহিলা, আগরতলার পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় চমক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement