রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: প্রায় সাড়ে তিন বছর পর নিজের গড় বেহালায় বিজেপির মিছিলের নেতৃত্ব দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovon Chatterjee)। মঙ্গলবার বিকেলে বেহালার ১৪ নম্বর বাস স্ট্যান্ড থেকে ঠাকুরপুকুর থ্রি-এ বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত। পাঁচ কিলোমিটার পথ বিজেপির এই রোড শোয়ে দলের কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়, সহ আহবায়ক বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলার সভাপতি শঙ্কর শিকদার।
বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, কোটি কোটি টাকা খরচ করে বেহালায় পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থার সমাধান করেছেন। ২০১৭ সালে তাঁরই করে দেওয়া পরিকল্পনায় এখন বেহালার উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “আধুনিক বেহালার রূপকার শোভন। বেহালায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে যদি বিজেপি টিকিট দেয় তাহলে শোভনকে বেহালার মানুষ জেতাবেন।” শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “কে দাঁড়াল বড় কথা নয়। বিজেপি সরকার গড়ছে এটাই যথেষ্ট। বেহালা পূর্ব ও পশ্চিমে তৃণমূলের আর কোনও বিধায়ক থাকবে না।”
শোভন আরও বলেন, “আমরা বিজেপির শরিক। বিজেপি কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করব।” এদিন সংবাদ মাধ্যমে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “২০০১ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বালিগঞ্জে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি তাঁকে বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে এনে জিতিয়েছিলাম। বেহালায় শূন্য থেকে একশো করেছিলাম। বিজেপিকে সেভাবেই প্রতিষ্ঠিত করব। আজকের বিশাল জমায়েত দেখে বোঝা যাচ্ছে শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজের জায়গায় আছে। তৃণমূল মানুষের থেকে সরে গিয়েছে।” শোভনের বক্তব্য, যে রাস্তায় বেহালায় মিছিল করেছেন, সেই রাস্তা দিয়ে আর পার্থবাবুকে বিধানসভায় যেতে হবে না।
জবাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যিনি নিজেই মিটিং করতে পারছেন না, তার কথার উত্তর দিয়ে লাভটা কী? আমি ওখানে চারবার জিতেছি। উনি হেরেছেন। ওঁকে বলব, ঘর সামলান। পরে দেখবেন বিধানসভা।” বিজেপিতে যোগদান করে শোভন চট্টোপাধ্যায় কাজ করতে পারছেন না বলে মন্তব্য কলকাতা পুরসভার মুখ্য পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের। ফিরহাদ বলেন, “তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কাজই করতে দেওয়া হচ্ছে না। উপরন্তু তাঁর উপর অনেক বেশি মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাই তিনি কাজ করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে রোড শো করছেন। ‘ছোটবেলার বন্ধু’ শোভনের এই অবস্থার জন্য তিনি কষ্ট পাচ্ছেন, তাঁর ‘খারাপ লাগছে’ বলেও জানান রাজ্যের পুরমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্য অনুমতি না দিলেও রথযাত্রা করবে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। রথযাত্রায় শামিল হবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.