রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: “কৃষি-শিল্প নয় শুধু কাটমানি চাই তৃণমূল (TMC) সরকারের।” কলকাতায় এসে কৃষি বিলের পক্ষে সওয়াল করে এভাবেই তৃণমূলকে নিশানা করলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। শুক্রবার রাজ্য বিজেপি দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে নয়া কৃষি বিল (Farm Bill 2020) নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতায় নামা বিরোধী দলগুলির সমালোচনা করেন সম্বিত। তিনি বলেন, “দু’বছর পরে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সন্মান নিধি যোজনা চালুর কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। এতদিন বাংলার ৭৩ লক্ষ কৃষককে কিষাণ সন্মান নিধি যোজনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখন বলছেন যোজনার টাকা রাজ্যের হাতে দিতে হবে। কিষাণ সন্মান নিধি যোজনা থেকেও কাটমানি চায় তৃণমূল।”
অন্য রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যা হলে সরব হন আর বাংলার কৃষকরা আত্মহত্যা করলে মুখ্যমন্ত্রী চুপ থাকেন কেন, প্রশ্ন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার। পুজোয় অনুদান থেকে পুরোহিত ভাতা সবই রাজনৈতিক স্বার্থে করা হচ্ছে। এমনটাই মনে করছেন সম্বিত পাত্র। তাঁর কথায়, “এবার বাংলায় বিজেপি আসছে। এটা সকলে বুঝে গিয়েছে।”
নয়া কৃষি বিলে কৃষকের উন্নয়ন ও স্বার্থ দেখা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, “কৃষকরা যে কোনও জায়গায় যে কোনও মূল্যে এবার ফসল বিক্রি করতে পারবে। কিষাণ মাণ্ডিতে কোনও কর দিতে হবে না।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, কৃষকদের জমি কৃষকের থাকবে। কোনও কর্পোরেট সংস্থা তাতে হাত দিতে পারবে না। সেটা সুনিশ্চিত করা হয়েছে নয়া কৃষি বিলে। নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিয়ে বিরোধীরা হইচই করছে। কিন্তু বিলে নূন্যতম সহায়ক মূল্যের কথা কোথাও লেখা নেই। সহায়ক মূল্য কি হবে এটা কোনও সরকারের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত।” কৃষি বিলের পক্ষে এদিন বিজেপির রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.