ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও কৃষ্ণকুমার দাস: বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্তের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কানাঘুষো চলছিলই। শোনা যাচ্ছিল, যে কোনও মুহূর্তে তৃণমূলে ফিরতে পারেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে হাজির হন সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)। এই সাক্ষাৎ স্বাভাবিকভাবেই উসকে দিয়েছিল দলবদলের জল্পনা। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূলে ফিরলেন সব্যসাচী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক পদে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অনুষ্ঠান শেষে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে দেখা গেল সব্যসাচী দত্তকে। সূত্রের খবর, এদিন মুকুল রায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সব্যসাচীর সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাকা হয়েছিল বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু ও তাপস চট্টোপাধ্যায়কে। শোনা যায়, এদিনও সব্যসাচীকে দলে ফেরানো নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেননি সুজিত ও তাপস। ফলে দলবদল নিয়ে একটা জটিলতা ছিলই। যদিও অবশেষে ঘাসফুল শিবিরে ফিরলেন সব্যসাচী। বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টেয় সব্যসাচী দত্তের হাতে দলের পতাকা তুলে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম।
এদিন তৃণমূলে ফেরার পর দলনেত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সব্যসাচী দত্ত। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন বিধায়ক, মেয়র ছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই সব পেয়েছি। তবে পরে দলের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। যার জেরে আবেগতাড়িত হয়ে অন্যদলে গিয়েছিলাম। আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ আবার গ্রহণ করলেন। এতটুকুই বলব, দল যেভাবে বলবে সেভাবেই কাজ করব।”
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক সব্যসাচী দত্ত। EZCC-তে বিজেপির নেতা-কর্মীরা যে পুজোর আয়োজন করেন, তার দায়িত্বেও সব্যসাচী। অর্থাৎ দলে তাঁর যথেষ্ট গুরুত্ব ছিল। এমন এক নেতার আচমকা দলত্যাগ বিজেপি নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে, তা বলাই বাহুল্য। তবে সব্যসাচী দত্তের দলত্যাগ প্রসঙ্গে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি বিজেপি নেতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.