রাহুল চক্রবর্তী: দু’বছর পর বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ কটাক্ষের সুরে জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিতে আসতে চাইলে, তাঁকেও স্বাগত৷ বিজেপি একটা সমুদ্র, এখানে অনেকেই স্নান করতে চাইছে৷ তবে সেক্ষেত্রে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিজেপির নীতি-আদর্শ মেনেই কাজ করতে হবে৷
[ আরও পড়ুন: ফের জাতীয় স্তরে পুরস্কৃত রাজ্যের প্রকল্প, প্রসূতিদের জন্য ব্যবস্থায় মিলল ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’]
শুক্রবার দুপুরের বর্ষাকালীন অধিবেশন চলার সময় বিধানসভায় ঢোকেন মুকুল রায়৷ দু’বছর পর বিধানসভায় এসে পুরনো পরিচিতদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন তিনি৷ সকলের খোঁজ খবর নেন৷ এরপরই তিনি সোজা চলে যান বিজেপির বিধায়কদের পরিষদীয় দলের ঘরে৷ সেখানে উপস্থিত দলের বিধায়কদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ একদিকে যখন বিধানসভায় এসেছেন মুকুল রায়, ঠিক তখনই অধিবেশন কক্ষে গণপিটুনি বিলের উপর বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তা জানতে পেরেই গণপিটুনি রোখার পক্ষে সওয়াল করেন বিজেপি নেতা৷ গণপিটুনির মতো ঘটনা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি৷
এরপরই সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন মুকুল রায়৷ সরাসরি বলেন, ‘‘বিজেপির নীতি-আদর্শ মেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যদি বিজেপিতে আসতে চান, তবে তাঁর জন্যও দরজা খোলা৷ বিজেপি একটা বৃহত্তর রাজনৈতিক দল৷ এখানে অনেকে আসবে, অনেকে যাবে৷ বিজেপি একটা সমুদ্র৷ সবাই এখানে স্নান করতে চাইছে৷ এর সদস্য হতে চাইছে৷ মুখ্যমন্ত্রী আসতে চাইলেও, আমার মনে হয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনও সময়ই আপত্তি করবে না৷ তাঁকেও দলে স্বাগত জানাবে৷’’
[ আরও পড়ুন: ডিউটি ‘ফাঁকি’ দিয়ে পুরুলিয়ায় স্কুলে পড়াচ্ছেন, চাকরি যাচ্ছে পুলিশের সেই ‘শবর পিতা’র ]
পাশাপাশি, এদিন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকও করেন মুকুল রায়৷ মনোজ টিগ্গা, জুয়েল মুর্মুদের বিধানসভার ভিরতে ও বাইরে শাসক বিরোধিতার সুর আরও চড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি৷ আত্মবিশ্বাসের সুরে দাবি করেন, আসন্ন যে তিনটি বিধানসভার উপনির্বাচন রয়েছে অর্থাৎ কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর সদর ও করিমপুর, তিনটেই জিতবে বিজেপি৷ এখানেই শেষ নয়, ফের একবার তিনি দাবি করেন, শতাধিক তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে৷ দলের নজর এড়াতে অন্য রাজ্যের সিম কার্ড ব্যবহার করে ফোনে যোগাযোগ করছে তাঁরা৷ ইতিমধ্যে তাঁদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি৷ তবে সেই তালিকায় রায়দিঘির বিধায়ক দেবশ্রী রায়ের নাম নেই বলেই জানান মুকুল রায়৷
[ আরও পড়ুন: বাঙালি তন্বীরা বহুগামী! নারীবিরোধী পোস্টে বিপাকে যুবক ]
শুক্রবার এক ঘণ্টার কিছু কম সময় বিধানসভায় ছিলেন মুকুল রায়৷ এরই মধ্যে নারদা কাণ্ডে দলের মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের সিবিআইয়ের তলব করা নিয়েও তৃণমূলকে খোঁচা দেন তিনি৷ বলেন, ‘‘আমাকেও সিবিআই ডেকেছিল৷ আমিও গিয়েছিলাম৷ যা জানতাম বলে এসেছি৷ আমি তো ভয় পাচ্ছি না৷ আমি যে টাকা নিয়েছি, ভিডিওতে তেমনটা তো দেখা যায়নি৷ একজন আমার কাছে টাকা নিয়ে এসেছিল, আমি বলেছিলাম দলের অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন৷ আমার কথা তো কোনও অসঙ্গতি নেই৷’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.