Advertisement
Advertisement

Breaking News

সব্যসাচী দত্ত

রণকৌশল বৈঠকে সব্যসাচীর ভূয়সী প্রশংসা, বিজেপি যোগের জল্পনা বাড়ালেন মুকুল

‘লোকসভা ভোটে সব্যসাচীর ভূমিকা বিজেপির পক্ষে ভাল ছিল’, জল্পনা বাড়িয়ে মন্তব্য মুকুলের৷

BJP leader Mukul Roy praises TMC MLA Sabyasachi Dutta
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 7, 2019 5:24 pm
  • Updated:July 8, 2019 2:52 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তকে যখন নাজেহাল তৃণমূল শিবির৷ তখনই রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়কের পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ জানালেন, বিগত লোকসভা নির্বাচনে সব্যসাচী দত্তের ভূমিকা বিজেপির পক্ষে ভাল ছিল। আর শীর্ষ বিজেপি নেতার এই মন্তব্যই আরও একবার বিতর্ক তৈরি করেছে রাজ্য রাজনীতিতে৷ উসকে দিয়েছে নয়া জল্পনা৷

[ আরও পড়ুন: কাজ ও মানসিক চাপ, গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে অনুব্রত মণ্ডল]

Advertisement

রাজ্যে বিজেপির রণকৌশল ঠিক করতে রবিবার একদিকে যখন আইসিসিআর অডিটোরিয়ামে বৈঠকে বসেছিলেন গেরুয়া শিবিরের রাজ্য ও জাতীয় স্তরের নেতারা৷ সব্যসাচী দত্তের ভাগ্য নির্ধারণে ঠিক তখনই তৃণমূল ভবনে বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু ও বিধাননগর পুরনিগমের কাউন্সিলরা৷ জানা গিয়েছে, বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার সময়ই মুকুল রায়কে সব্যসাচী প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়৷ তাঁর ‘প্রিয় ভাই’য়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুকুল রায় উত্তরে বলেন, ‘‘তৃণমূলে থেকেও বিগত লোক লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে ভাল ভূমিকা নিয়েছে বিধাননগরের মেয়র৷ মাত্র দু’জন কাউন্সিলর সব্যসাচীর বিপক্ষে রয়েছে৷ বাকি কাউন্সিলররা ওঁর পক্ষেই রয়েছে৷ তাহলে অঙ্কটা কি দাঁড়ায়?’’ মেয়রের কাজের সুখ্যাতি করে তিনি আরও জানান, বিধাননগর পুরসভার পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব যাঁদের, তাঁরা সব্যসাচীর প্রশংসা করছে৷ এবং যারা পরিষেবা পাচ্ছে তারাও প্রশংসা করছে৷ এখানেই শেষ নয়, ক্রমাগত ভাঙতে থাকা তৃণমূলের অন্দরে আরও সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি করতেও পিছপা হননি মুকুল রায়৷ তিনি জানান, ‘‘বিগত লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলের বহু বিধায়ক আমাদের পক্ষে কাজ করেছে। সেজন্যই ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছি আমরা।’’

[ আরও পড়ুন: শাসকের অত্যাচারের শিকার হচ্ছে কর্মীরা’, আবেগে কেঁদে ফেললেন দিলীপ ঘোষ ]

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগে বহুবার সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে জল্পনা তৈরি করেছেন মুকুল রায়৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে সশরীরে তিনি হাজির হন বিধাননগরের মেয়রের বাড়িতে৷ পাত পেড়ে সেখানে লুচি-আলুর দম খান৷ এরপরই কিছুটা বেসুর শোনায় সব্যসাচীকে৷ দলের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি৷ যা নিয়ে অস্বস্তি বাড়ে তৃণমূল শিবিরে৷ সব্যসাচীর দল ছাড়া নিয়ে তীব্র হয় জল্পনা৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে সব্যসাচীকে নিয়ে বৈঠক করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুজিত বসু ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ বৈঠক শেষে রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক ঘোষণা করেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন৷ কোনওক্রমে ভাঙন রোধ করা হয়৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement