রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: রবিবার হাই ভোল্টেজ ব্রিগেড। প্রধানমন্ত্রীর সভা ভরাতে তৎপর গেরুয়া শিবির। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যে সমর্থকরা রওনা দিয়েছেন। রীতিমতো ট্রেন ভাড়া করে সমর্থকদের নিয়ে আসছে তারা। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্র ভবানীপুরে জনসংযোগ শুরু করে দিল বিজেপি। শনিবার সকাল থেকে ব্রিগেডের আমন্ত্রণপত্র বিলি করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। তাঁকে ভবানীপুর (Bhawanipore) এ নর্দান পার্ক ও শরৎ বসু রোডে টি স্টলে আমন্ত্রণপত্র বিলি করতে দেখা গিয়েছে।
ভোটের বাদ্যি বেজেছে বাংলায়। এবার নির্বাচনে বিজেপি-তৃণমূলের কড়া টক্কর। বাংলায় লড়াইয়ের পারদ আরও চড়ছে প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড ঘিরে। সেই ব্রিগেডের আগে মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন বিধানসভা কেন্দ্রে কৈলাসের আমন্ত্রণপত্র বিলি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এমনিতেই ভবানীপুর ঘিরে এবার রাজনীতির পারদ চড়ছে। প্রথমে কথা ছিল দুটি কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়াই করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তিনি জানিয়ে দেন শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করবেন। বদলে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির তরফে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ভবানীপুরে কেন্দ্রে এবার জোর টক্কর হবে। বিজেপির কাছে যে দক্ষিণ কলকাতায় এই বিধানসভা অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা এদিন আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, মমতার ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্রকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। যেনতেন প্রকারণে এই কেন্দ্রে জিততে ইতিমধ্যে জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
এদিকে ব্রিগেড ভরাতে অভিনব কৌশল নিয়েছে বিজেপি। তিনটি বিশেষ ট্রেনের জন্য ইতিমধ্যে তারা আরজি জানিয়েছে আইআরসিটিসিকে। তিনটির মধ্যে আলিপুরদুয়ার, মালদহ ও অন্যটি উত্তর দিনাজপুরের হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে। ভাড়া দিতে হবে প্রায় ২৬, ২২ ও ১৮ লক্ষ টাকা। ট্রেন তিনটি গন্তব্যে এসে ১৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করবে হাওড়া, শিয়ালদহের দুই সাইডিংয়ে। অপেক্ষার সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা ও জল ভরে দেওয়ার দায়িত্ব নেবে রেলই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.