রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly Elections) পর থেকেই ভাঙন শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। জেলায় জেলায় বহু নেতা বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। সোমবার ব্রাত্য বসুর হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে ফিরলেন বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। এরপরই ভিডিও বার্তায় দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশংসা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)।
ঠিক কী বলেছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়? তন্ময় ঘোষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফের প্রমাণিত হল বিজেপির হোমওয়ার্কের কোনও ধারণা নেই। তন্ময় ঘোষ তৃণমূলেরই ছিলেন। ভোটের আগে কেন তাঁকে বিজেপিতে নেওয়া হল। সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীও করা হল। জিতেও গেলেন। কিন্তু ফল প্রকাশের সাড়ে তিনমাসেই ডিগবাজি খেলেন।” এরপরই নাম না করে সৌমিত্র খাঁকে খোঁচা দিয়ে জয় বলেন, “বিষ্ণুপুরে আমাদের এক নেতা আছেন, তিনি সব দলেই ছিলেন। ওনার নাকি অগাধ জ্ঞান। উনিও কোনও ধারণাই করতে পারেননি যে এমনটা হবে।”
এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রশংসা করেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “ভোটের আগে একমাত্র শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া সব অযোগ্য তৃণমূল নেতারা যখন বিজেপিতে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামলেছেন। কিন্তু বিজেপিকে মনে রাখতে হবে আমাদের দলে কোনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেই।” এদিন রাজ্যের নেতাদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আমার আবেদন, রাজ্যে ভাল নেতা পাঠান। এখানকার নেতারা তোষামোদ ছাড়া কিছু বোঝেন না। অযোগ্য লোককে দায়িত্ব দিচ্ছেন। এভাবে চলতে পারে না। অবিলম্বে যোগ্য ব্যাক্তিদের খুঁজে বের করতে হবে আমাদের।”
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলে ছিলেন তন্ময় ঘোষ। একাধিক ব্যবসা রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি বিষ্ণুপুর তৃণমূলের শহর সভাপতি ছিলেন। হঠাৎ করে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন তন্ময়। গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পরদিনই বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। ভোটে জয়ও পান। গত তিন মাস ধরে বিজেপির বিধায়ক হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। তবে বিজেপি নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পরই পুরনো দলে ফেরার চেষ্টা শুরু করেছিলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.