রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় যেতে বাধা দিচ্ছে প্রশাসন। এই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিজেপি কর্মীদের সব জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমার কর্মীদের বলেছি কোনও কোয়ারেন্টাইন, কোনও লকডাউন মানবে না। আমরা কাল থেকে সব জায়গায় যাব। দেখি মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে সামলান, নাকি করোনা-আমফানকে সামলান।” দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘দুর্গতদের সাহায্যে গেলে বিজেপির সাংসদদের আটকানো হয়েছে। বিনা কারণে কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তৃণমূলের এমপিরা সব জায়গায় যাচ্ছে। আর আমার বেলায় যত লকডাউন।’ তাঁর দাবি, ‘বিজেপি দুর্যোগ নিয়ে রাজনীতি করে না। কোথাও বিক্ষোভও দেখায়নি। কিন্তু মানুষের কষ্ট যদি বাড়ে তাহলে রাজনীতি করব।’ মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতির।
প্রসঙ্গত, বাংলাকে তৃণমূলের অপশাসন মুক্ত করতে রাজ্যের বিরুদ্ধে এদিন ৯ দফা চার্জশিট দিল বঙ্গ বিজেপি। পুস্তিকা আকারে এই চার্জশিট প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ। বাংলায় আর নয় মমতা, আর নয় অত্যাচার, আর নয় অন্যায়। এই স্লোগান তুলে তৃণমূল সরকারের ৯ বছরের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে এই চার্জশিট নিয়ে মানুষের দরবারে যাবে বিজেপি নেতা-কর্মীরা। প্রচার চলবে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। আম জনতাকে নির্দিষ্ট নম্বরে মিস কল দিয়ে সমর্থন জানাতে আহ্বান জানানো হয়েছে। চলবে তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের কাজ। লক্ষ্য একটাই, ২০২১-এর নির্বাচন। বুধবার বিজেপির রাজ্য দপ্তরে চার্জশিট প্রকাশ অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ ছাড়াও ছিলেন দলের তিন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৭ মে রাজ্যে তৃণমূল সরকারের ৯ বছর পূর্তির দিনটিকে কালো দিন বলে কটাক্ষ করেন দিলীপবাবু। চার্জশিটে করোনা ও আমফান মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা, রেশন দুর্নীতি, রাজ্যে বেহাল আইনশৃঙ্খলা, অর্থনীতি ছাড়াও শিক্ষা, শরণার্থীর বিষয়গুলিও রাখা হয়েছে। সমালোচনা করা হয়েছে সরকারের কাজের। চার্জশিটের শেষের দিকে মমতাকে হিন্দু ও শরণার্থী বিরোধী বলা হয়েছে বিজেপির তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.