রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ড (Hathras Gang Rape) নিয়ে আপাতত তপ্ত রাজনীতির অলিন্দ। ইস্যুকে হাতিয়ার করেই আসরে নেমেছে শাসক-বিরোধী উভয়েই। হাথরাসের ন্যক্কারজনক ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে যোগী প্রশাসন। গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে সাফাই দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর পাঁচটা ধর্ষণের ঘটনার কথা বলে কার্যত বাংলার প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি।
দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “যারা দোষী তারা শাস্তি পাবেই।” বাংলার প্রশাসনকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “যারা রাজনীতি করছেন তারা দেখুন বাংলায় কী হচ্ছে। সারা দুনিয়ার জঙ্গিদের বাংলা থেকে পাওয়া যায়। যেখানে সেখানে সাম্প্রদায়িত দাঙ্গা হয়। বাদুড়িয়া, বসিরহাট, রানিগঞ্জ আসানসোল, ধূলাগড়ে কেন দাঙ্গা হয়। এরপরেও এখানে মনে হয় শান্তি রয়েছে? শ্মশানের শান্তি বিরাজ করছে বাংলায়। পাড়ায় পাড়ায় খুন, ধর্ষণ হচ্ছে।” বৃহস্পতিবারই হাথরাসের নির্যাতিতার পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যান রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। যোগীরাজ্যের পুলিশ রাহুলকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
এই ইস্যুতেও এদিন কংগ্রেসকেও (Congress) তোপ দাগেন দিলীপ। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের হিম্মত নেই টিএমসির বিরুদ্ধে বলার। তৃণমূলের বি টিম কংগ্রেস। কংগ্রেসের সাহস নেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলার।” অধীর চৌধুরিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর দাবি, অধীর চৌধুরি পুরো আন্দোলনই ‘লোক দেখানো’। প্রয়োজন হলে তিনি অনায়াসে তৃণমূলের সঙ্গে সন্ধি করতে যেতে পারেন বলেও কটাক্ষ দিলীপের। তাঁর বক্তব্য, “যদি দিল্লি বলে তৃণমূলের সঙ্গে সন্ধি করতে তবে তিনি দিদিমণির বাড়িতে গিয়ে চা খেয়ে আসবেন।”
এছাড়া এদিন কৃষি আইনের (Farm Law 2020) সমর্থনেও বিরোধীরা খোঁচা দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর দাবি, “কৃষকরা যথেষ্ট খুশি। ক্ষতিগ্রস্ত দালালরাই শহরে এসে মিছিল করছে।” এদিকে, এদিন সকালেও টুইটে কৃষি আইনের বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষকদের স্বার্থরক্ষার তাগিদে আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.