ফাইল ছবি
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপিতে একের পর এক হোয়াটসঅ্যাপ ‘বিদ্রোহ’ লেগেই রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে অস্বস্তিতে পদ্মশিবির। তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ রয়েছেন নিজের মেজাজেই। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপত্যাগীদের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় কটাক্ষ করলেন তিনি।
সোমবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “গ্রুপ ছাড়লেই খবর হয়।তাই মাঝে মাঝে মনে হয় আমিও দু-একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে যাই। তা হলে খবর করবেন। গ্রুপ ছাড়লে সম্মান কিংবা পদ পাওয়া যায় না।” পদ্ম শিবিরে নতুন করে অস্বস্তি বাড়িয়ে রবিবারই যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। এদিন তাঁকেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, “কেউ কেউ ওরকম ট্র্যাভেলর হন। তাঁরা এদিক থেকে ওদিক ঘুরে বেড়াতে থাকেন। ওঁদের নিয়ে রাজনীতি চলে না। দলও না।”
গত বছরের শেষের দিকে বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। আর সেই তালিকা প্রকাশের পর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (WhatsApp Group) থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পাঁচ বিধায়ক (MLA)। সেই তালিকা লম্বা করে মতুয়া বিদ্রোহে শামিল হয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন শান্তনু ঠাকুর। হিরণও বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। বিরোধীরা বলছেন, দলীয় কোন্দল যে চরমে পৌঁছেছে, তা একের পর এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগেই স্পষ্ট।
তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির সোমবার সকালের মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল। যাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করছেন, তাঁরা কোনও না কোনও কারণ উল্লেখ করছেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপত্যাগীদের উল্লেখ করা কারণে যে দিলীপ ঘোষ সন্তুষ্ট নন তা তাঁর মন্তব্যেই স্পষ্ট। প্রশ্ন উঠছে, তাঁদের কটাক্ষ করে কি অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও বেশি প্রকট হয়ে উঠল না? যদিও গেরুয়া শিবির গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ খারিজ করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.