Advertisement
Advertisement
BJP leader Dilip Ghosh advices CM Mamata Banerjee over Jai Shri Ram slogan controversy

Dilip Ghosh: ‘আপত্তি থাকলে বিধানসভায় বিল আনুন’, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান বিতর্কে মমতাকে পরামর্শ দিলীপের

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনে মমতার উদ্দেশ্যে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দেয় বিজেপি।

BJP leader Dilip Ghosh advices CM Mamata Banerjee over Jai Shri Ram slogan controversy । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 31, 2022 9:40 am
  • Updated:December 31, 2022 12:00 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান বিতর্ক নিয়ে রাজনৈতিক তরজা ক্রমশ চড়ছে। শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুষলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও পালটা বিজেপিকে দুষেছে তৃণমূল।

ঠিক কী নিয়ে এত বিতর্ক? শুক্রবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের আগে হাওড়া স্টেশনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। হাওড়ায় অতিথিদের জন্য তৈরি মঞ্চে বসে থাকা বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জোর গলায় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলতে থাকেন। তা মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছনো মাত্র তাঁর শরীরী ভাষা বদলাতে থাকে। বোঝাই যায়, অত্যন্ত বিরক্ত, ক্ষুব্ধ হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে সঙ্গেই তা সামলানোর চেষ্টা করেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। হাতজোড় করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন রেলমন্ত্রী। যদিও শেষমেশ মূলমঞ্চে ওঠেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে দর্শকাসন থেকেই বক্তব্য রাখেন। অংশ নেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও। স্লোগানকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘নমামি গঙ্গে’য় নতুন পাঁচ প্রকল্পের ঘোষণা মোদির, আদিগঙ্গা পরিচ্ছন্ন করতে বরাদ্দ ৬০০ কোটি]

শনিবার সকালে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “উনি নাম, বদনামের ধার ধারেন না। টাকার থলি নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ঘোরেন। কিন্তু কিছু করতে পারেন না। কারণ ওঁর এই আচরণ। আমাদের দেশে বন্দেমাতরম বলতে আইনি বাধা নেই। ‘জয় শ্রীরাম’ বলতেও বাধা নেই। উনি খেপে যাচ্ছেন কেন? আমাদের পিছনে তো রোজ জয় বাংলা বলছেন। আমরা কি খেপে যাই? যদি আপনার ‘জয় শ্রীরাম’ শুনতে আপত্তি থাকে, বিধানসভায় বিল নিয়ে আসুন। রোজ তো কিছু না কিছু বিল আনেন। বিল এনে পাশ করিয়ে রাজ্যে ‘জয় শ্রীরাম’ নিষিদ্ধ করে দিন। ইংরেজরা সার্কুলার জারি করে দেশে বন্দেমাতরম বলা বন্ধ করেছিল। তৃণমূল ‘জয় শ্রীরাম’ নিষিদ্ধ করে দিক। মানুষ বুঝে যাবে, এরা কারা?”

রেলমন্ত্রী হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়ার পরেও মূলমঞ্চে ওঠেননি মমতা। তা নিয়েও মমতাকে খোঁচা দেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, “ওর রাজনীতিটাই নেগেটিভ পলিটিকস। শুধু নাটক। আপনি তো ‘জয় শ্রীরাম’ বলায় কিছু লোককে জেলে ঢুকিয়েছিলেন। সারা বাংলার লোক খেপে আছে। এ জিনিস গণতন্ত্রে চলতে পারে না। আপনারা তো সরকারি অনুষ্ঠানে আমাদের সাংসদ, বিধায়কদের ডাকেন না। আমরা তো তাও ডেকেছি। সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই প্রকল্পে ওঁর কোনও অবদান নেই। উনি রাতে শুয়ে শুয়ে একদিন স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন সফল করেছেন মোদিজি। সেখানে অতিথি হয়ে তারা আপনার রাজ্যে এসেছেন। আপনি এমন ভাব করছেন, যেন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।” যদিও সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়াকে অসভ্যতা বলেই পালটা দাবি করেছে তৃণমূল।

[আরও পড়ুন: জোকা-তারাতলা মেট্রোর উদ্বোধনে মমতার মুখে ‘প্রিয়’ কাননের নাম, আপ্লুত শোভন-বৈশাখী]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement