রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কথা ছিল, রাজনীতির কোনও আঁচ লাগবে না। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যানারে শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীরা নবান্ন অভিযান করবেন মঙ্গলবার। সামনে অন্তত কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও নেতা থাকবেন না। কর্মসূচি ঘোষণা করতে গিয়ে একাধিকবার একথা বলেছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’ নামে সংগঠন। কিন্তু মঙ্গলবার মিছিল শুরু হতেই ছবি গেল বদলে। দেখা গেল, মিছিল শুরুর অন্যতম স্থান কলেজ স্কোয়ার থেকে জমায়েতের নেতৃত্বে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং (Arjun Singh)! অন্যদিকে, বিধানসভায় এসে বিরোধী দলনেতাও হুঁশিয়ারি দিলেন, আজকের অভিযানে ছাত্রদের গায়ে হাত পড়লে তাঁরা অবস্থানে বসবেন। অত্যাচার হলে পশ্চিমবঙ্গ স্তব্ধ করা হবে। আশ্বাস দিয়েছেন, আইনি সহায়তা করা হবে প্রতিবাদকারীদের। আর এ থেকেই স্পষ্ট, এই নবান্ন অভিযানে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজে’র আড়ালে আসলে বিজেপিই।
সোমবার বিকেলে কলকাতা প্রেস ক্লাবে কর্মসূচি সংক্রান্ত ঘোষণার সময়ই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজে’র এই আন্দোলনের আড়ালে আসলে বিজেপি-আরএসএস (BJP-RSS)। প্রশ্নের মুখে দুই সদস্য শুভঙ্কর হালদার ও সায়ন লাহিড়ী তা প্রকাশ করেছিলেন। যদিও তাঁরা বার বার উল্লেখ করেছিলেন, মঙ্গলবারের অভিযানের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের কোনও যোগ নেই। কোনও রাজনৈতিক দলের নেতারা যাতে সামনে না থাকেন, সেই আবেদনও জানানো হয়েছিল।
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, মিছিলের আগেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই অভিযান নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) একাধিক পোস্ট করছেন। তাতেই বিজেপি যোগ নিয়ে পালটা পোস্ট করেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আর বেলা বাড়তে শুভেন্দু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাফ বলেন, ”ছাত্রদের কারও গায়ে হাত পড়লে আমরা অবস্থানে বসব। আক্রান্তদের আইনি সহায়তা দেব, খরচও দেব। আর অত্যাচার হলে পশ্চিমবঙ্গ স্তব্ধ করে দেব।”
এনিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”দক্ষতার সঙ্গে RG Kar তদন্তে CBI-এর দায়িত্ব থেকে নজর ঘোরানো হচ্ছে। নবান্ন ঘিরে বিজেপির চক্রান্তমূলক লম্ফঝম্পে। কেন তদন্তের কিনারা হচ্ছে না, সেই চাপ CGOতে তৈরির বদলে মিডিয়া ব্যস্ত নবান্নকে ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা দেখাতে। এরা কী ভেবেছিল? পুলিশ থাকবে না, BJP নবান্নে বেড়াতে যাবে?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.