সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “জয় সিয়ারাম, জয় রামজি কী, রাম নাম সত্য হ্যায়… এসব ধর্মীয় স্লোগান। এগুলির সঙ্গে ধর্ম এবং সমাজের যোগ রয়েছে। আমরা এই আবেগকে সম্মান করি।” ফেসবুকে এর প্রবক্তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁর বিরুদ্ধে ক’দিন আগে থেকেই বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, ‘জয় শ্রীরাম’ বললেই নাকি রেগে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনও ধর্মীয় স্লোগানে তাঁর আপত্তি নেই। বরং সব ধর্মের স্লোগানকে তিনি সম্মান করেন। কিন্তু বিজেপি যেভাবে ধর্ম আর রাজনীতিকে মিশিয়ে দিয়ে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে সেই বিভাজনকে রুখতে হবে। একটি ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “আরএসএস যেভাবে জোর করে একটি রাজনৈতিক স্লোগানকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, আমরা তার বিরোধিতা করি।”
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাজ্যে বার দুই এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলছেন বিজেপি সমর্থকরা। চলছে অভব্যতাও। আবার এসব দেখে যারপরনাই রেগে গিয়ে প্রকাশ্যে মেজাজও হারিয়েছেন মমতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেসব ভিডিও এখন ভাইরাল। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রতিক্রিয়া কাজে লাগিয়ে, তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ তথা হিন্দু বিরোধী বলে প্রচার করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভাবমূর্তিটি ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করলেন মমতা। বললেন, “আমার কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কোনও স্লোগান নিয়ে আপত্তি নেই। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই নিজস্ব স্লোগান থাকে। আমরা সেই স্লোগানগুলিকে সম্মান করি।”
মমতা এদিন সাফ জানান, “এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে বিজেপি কর্মীরা ঘৃণার মতাদর্শ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। ভুয়ো ভিডিও, ভুয়ো খবর, ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। রামমোহন রায় থেকে শুরু করে বিদ্যাসাগর পর্যন্ত সমস্ত সমাজ সংস্কারকরা, প্রত্যেকেই বাংলার সম্প্রীতি, বাংলার উন্নতি আর বাংলার অগ্রগতির কথা বলেছেন। কিন্তু বর্তমানে, বিজেপির ঘৃণ্য পরিকল্পনা বাংলাকে খুব খারাপভাবে টার্গেট করার। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে রক্ষা করতে আমরা বিজেপির এই অপচেষ্টাকে রুখে দেওয়ার সবরকম প্রয়াস করব।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সময় এসেছে এসবের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার। কোনও রাজনৈতিক কর্মীরই ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে কারও সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানো বা হিংসা ছড়ানো উচিত নয়। সব দলেরই উচিত, শান্তি বজায় রাখতে নিজেদের মতো উদ্যোগ নেওয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.