Advertisement
Advertisement
বিজেপি

বসিরহাট কাণ্ডের প্রতিবাদে লালবাজার অভিযানে বিজেপি, অশান্তি এড়াতে প্রস্তুত পুলিশও

লালবাজার অভিযানে এক লক্ষ লোক জমায়েতের টার্গেট গেরুয়া শিবিরের৷

BJP is to organise Lalbazar Abhiyan on Wednesday
Published by: Tanujit Das
  • Posted:June 12, 2019 9:32 am
  • Updated:June 12, 2019 9:32 am  

স্টাফ রিপোর্টার: সন্দেশখালিতে দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে বুধবার লালবাজার অভিযানে নামছে বিজেপি। মহানগরীর বুকে এই মিছিলে রেকর্ড জমায়েত করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনই লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের। দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরি-সহ দলের ১৮জন নবনির্বাচিত সাংসদ ও সমস্ত বিধায়ক এবং বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এই বিক্ষোভ মিছিলে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির এই লালবাজার অভিযান কর্মসূচিতে গন্ডগোলের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন। তাই লালবাজার অভিযানকে ঘিরে সমস্তরকম প্রস্তুতি নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

[ আরও পড়ুন: লোকসভায় কেন খারাপ ফল, কাউন্সিলরদের জবাবদিহি চাইবেন মমতা ]

Advertisement

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর ১টায় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু হবে। এরপর নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট হয়ে লালবাজারের দিকে এগোবে মিছিল। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, লালবাজার অভিযানে প্রায় ১ লক্ষ জমায়েতের টার্গেট রাখা হয়েছে। কলকাতা ও শহরতলির জেলা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলা থেকেই জমায়েত করা হবে। সূত্রের খবর, বুধবারের কর্মসূচিকে রীতিমতো জঙ্গি আন্দোলনের রূপ দিয়ে প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা থাকবে গেরুয়া শিবিরের। যদিও আজ দলের লালবাজার অভিযান নিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানিয়েছেন, “ওরা (তৃণমূল) প্ররোচনা দিতে পারে। আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখব।”

[ আরও পড়ুন: ‘তাড়াতে পারলে বুঝব দম আছে’, দলের বিরুদ্ধে ফের হুঁশিয়ারি সব্যসাচীর ]

অতীতে বিজেপির লালবাজার অভিযানকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়েছিল কলকাতা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয়েছিল। পুড়েছিল পুলিশের গাড়ি। এবার অবশ্য যথেষ্ট সতর্ক কলকাতা পুলিশ। যেকোনও ধরনের অশান্তি ঠেকাতে সমস্তরকম ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। লালবাজার অভিযান রুখতে লালবাজারের আশপাশের বাড়িগুলির উপর নজর থাকছে পুলিশের। এ ছাড়াও লালবাজারের দিকে আসার আগেই বেশ কয়েকটি জায়গায় বিজেপির মিছিল আটকানোর পরিকল্পনা করেছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের সামনের দু’টি গেট ও রাধাবাজারের দিকে গেটের সামনেও থাকছে পুলিশের বিশেষ প্রহরা। এদিকে, লালবাজারে আসার প্রত্যেকটি রাস্তা মিছিল আসার বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। থাকবে পুলিশের র‌্যাফ ও বিশেষ বাহিনী। এদিন মোট তিন হাজার অতিরিক্ত পুলিশ নামছে রাস্তায়।

[ আরও পড়ুন: ‘আমার গলা কেটে দিলেও কাজ করব’, বিদ্যাসাগরের মূর্তিস্থাপন মঞ্চে চ্যালেঞ্জ মমতার ]

বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ-সহ লালবাজারে যাওয়ার মূল চারটি রাস্তায় থাকছে পুলিশের ব্যারিকেড। স্টিলের ব্যারিকেডের সঙ্গে থাকছে বাঁশের সিজার ব্যারিকেডও। এ ছাড়াও লালবাজারমুখী ১৫টির বেশি গলি ও অপরিসর রাস্তাও কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশাল পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে আজ রাস্তায় থাকছেন লালবাজারের পদস্থ কর্তারাও। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লালবাজারে পদস্থ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। বৈঠকের পর পুলিশ কর্তারা যে চারটি জায়গায় ব্যারিকেড থাকছে, সেই জায়গাগুলি খতিয়ে দেখেন।

[ আরও পড়ুন: এনআরএস কাণ্ডের প্রতিবাদ, রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতিতে শামিল জুনিয়র ডাক্তাররা ]

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে দুই দলীয় কর্মীকে খুনের প্রতিবাদে এবং রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আজ, বুধবার রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে বিজেপির লালবাজার অভিযানের মিছিল শুরু হবে। নেতৃত্বে থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায়। নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনাকে সামনে রেখে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল ও বিজেপি। দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে দু’দলই। সদ্য সন্দেশখালিতে হিংসার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন তৃণমূল সমর্থক ও দু’জন বিজেপি কর্মী। এই ঘটনার পর রাজ্যে শাসক ও বিজেপি সংঘাত আরও তীব্র আকার নিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য সরকারের থেকে। পাল্টা উত্তর দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছে রাজ্যও। সন্দেশখালি ইস্যুতে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতেরও পরিবেশ। আবার এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি নিয়ে তরজা তুঙ্গে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement