ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অংশে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। সুতি, ধুলিয়ান-সহ একাধিক এলাকায় অশান্তি দেখা গিয়েছে বলে খবর। আর এই ঘটনা নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে সামাজিক মাধ্যমে একাধিক ছবি মুর্শিদাবাদের বলে প্রচার করা হচ্ছে। সেগুলি আসলে ভুল। বিজেপি অন্য রাজ্যের ছবি দেখিয়ে মুর্শিদাবাদের অশান্তির মিথ্যা প্রচার করছে। এমনই পালটা দাবি করা হয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ফেসবুক পেজ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে বিজেপি একাধিক ছবি প্রকাশ করে প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু সেসব ছবির সঙ্গে মুর্শিদাবাদের কোনও যোগ নেই। বিজেপির ফেসবুক পেজের ছবি শেয়ার করে সেই কথা পালটা দাবি করেছে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের তরফে সেই ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, “দেখুন কীভাবে অন্য রাজ্যের ছবি ব্যবহার করে বাংলাকে বদনাম করছে বিজেপি। খুলে দিন এদের মিথ্যাচারের মুখোশ।” উত্তরপ্রদেশের সিএএ আন্দোলন, ম্যাঙ্গালোর, লখনউ এনআরসির প্রতিবাদ, সিএএ প্রতিবাদের ছবি মুর্শিদাবাদের বলে বিজেপি প্রচার করছে। সেই দাবি করেছে তৃণমূল।
বাংলায় বড় গন্ডগোলের প্রেক্ষাপট তৈরি করার চেষ্টা চলছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এই দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি জানান, বিজেপি গন্ডগোলের ছবি দেখিয়ে মিথ্যা প্রচার শুরু করেছে। বিজেপি নেতারা তাঁদের সামাজিক মাধ্যমে যে ছবিগুলো পোস্ট করেছেন, সেগুলো মুর্শিদাবাদের এই ঘটনার নয়। ছবি চিহ্নিত হয়েছে। একটা লখনউয়ের এনআরসির প্রতিবাদের ছবি, বাড়িতে আগুন লাগানোর আরেকটা ছবি জলন্ধরের। কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশের অন্য ঘটনার ছবিও ছড়ানো হয়েছে। সেই কথাও বলা হয়েছে। বিজেপির পাতা ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য বাংলার মানুষের কাছে আবেদন করেছেন কুণাল।
বিএসএফের একাংশের সাহায্যে বহিরাগতদের এনে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এদিন এই অভিযোগও করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “বিএসএফের একাংশের সাহায্য নিয়ে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের ঢুকিয়ে অশান্তি ছড়িয়ে আবার তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকার লোকজন বলছে, অশান্তির মূল পাণ্ডাদের তারা চেনেন না। ফলে কোনও রাজনৈতিক দল কোনও কোনও এজেন্সির সাহায্যে অশান্তি ছড়াচ্ছে কি না তা দেখতে হবে।” মুর্শিদাবাদের এই অশান্তির নেপথ্যে বহিরাগত শক্তি! এমনই দাবি করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। তৃণমূলের দাবি, বাইরে থেকে লোক এনে বিজেপি বাংলার সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে চাইছে। তাতে সাহায্য করেছে বিএসএফের একাংশ। মুর্শিদাবাদের হিংসার নেপথ্যে অন্য বহিরাগত শক্তির উপস্থিতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.