সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতসকালে বিজেপির সংকল্প প্রতিরোধ যাত্রাকে ঘিরে ধুন্ধুমার শহরে। বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে চেহারা নিল উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান। চলল ব্যাপক ভাঙচুর। অভিযোগ পালটা অভিযোগে তেতে উঠেছে গোটা এলাকা। বিজেপির অভিযোগ, পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে বিনানি ভবনে দলের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। শাসকদলের আবার পালটা দাবি, পথ চলতি মহিলাদের কটুক্তি করছিলেন বিজেপির কর্মীরা। প্রতিবাদ করাতেই তৃণমূল কর্মীদের উপর চড়াও হন বিজেপি কর্মীরাই। ঘটনাস্থলে কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী।
[‘নিজেকে ধন্য মনে করছি’, সাম্মানিক ডিলিট পেয়ে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী]
বস্তুত, এই প্রতিরোধ সংকল্প যাত্রা নিয়ে শাসকদলের সঙ্গে বিজেপির সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল। আইন-শৃঙ্খলাজনিত কারণে প্রথমে মিছিলের অনুমতি দিয়ে চায়নি পুলিশ। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বুধবার শর্তসাপেক্ষে গেরুয়াশিবিরকে রাজ্য জুড়ে প্রতিরোধ সংকল্প যাত্রা করার অনুমতি দেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, আইন মেনে মিছিল করতে হবে। কিন্তু, তারপরেও বিজেপির এই কর্মসূচি ঘিরে অশান্তি এড়ানো গেল না। খাস কলকাতাতেই সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ল শাসক ও বিরোধী শিবির। অভিযোগ পালটা অভিযোগে তেতে উঠল উত্তর কলকাতা জোড়াবাগান। চলল ব্যাপক ভাঙচুর।
[‘মমতা দিদি কা জয়’ ধ্বনিতে আশীর্বাদ সন্ন্যাসীর, ঘোর বিড়ম্বনায় দিলীপ]
ঘটনা কী ঠিক? পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুসারে শুক্রবার সকালে জোড়াবাগান এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করার কথা ছিল বিজেপি যুব মোর্চার। মিছিলের আগে সকালে পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের বিনানি হাউসে জড়ো হয়েছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, সেই জমায়েতে হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। রেহাই পাননি কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর ও দলের প্রবীণ নেত্রী মীনাদেবী পুরোহিতও। ঘটনার জেরে বিনানি হাউসেও আটকে পড়েন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হামলার খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকার বিজেপি কর্মীরা এসে পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিট ও লাগোয়া এলাকায় ভাঙচুর শুরু করেন। রাস্তায় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়। এমনকী, মারমুখী বিজেপি সমর্থকদের হাত থেকে স্থানীয় বাসিন্দারাও রেহাই পাননি বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় ডিসি নর্থের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের দিকে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গিয়ে কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
[বিচারকের গরহাজিরায় পিছোল শুনানি, আদালত চত্বরে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের]
এদিকে, বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদলের পালটা দাবি, মিছিলের জন্য জড়ো হওয়া বিজেপি কর্মীরা পখচলতি মহিলাদের কটুক্তি করছিলেন। প্রতিবাদ করেছিলেন এলাকার তৃণমলকর্মীরা। এরপরই এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে দেন বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক মারধর করাই শুধু নয়, এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনার জেরে এলাকায় এখন যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী।
[বিচারকের গরহাজিরায় পিছোল শুনানি, আদালত চত্বরে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের]
এদিকে, এই ঘটনায় পর, ফের মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তরেও হামলা হয়। বিজেপির অভিযোগ, একটি বাইক মিছিল বেরনোর পর দলের সদর দপ্তরে ঢিল ছুঁড়তে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনায় অফিসের ব্যস্ত সময়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে যান চলাচল। তবে পুলিশি তৎপরতায় দ্রুত পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে আসে।
[এবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু পার হতে গুণতে হবে দ্বিগুণ টাকা!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.