Advertisement
Advertisement

Breaking News

West Bengal Civic polls

চার পুরনিগমে অর্ধেকের বেশি আসনে তৃতীয় বা চতুর্থ কেন বিজেপি? রিপোর্ট চাইল ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেও তৃতীয় বা চতুর্থ হওয়ার ব্যাখা দেবেন কীভাবে? চিন্তায় রাজ্য নেতারা।

BJP faces the heat after debacale in West Bengal Civic polls | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 17, 2022 1:24 pm
  • Updated:February 17, 2022 1:24 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: চার পুরভোটে দলের হতাশাজনক ফলাফল নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির। চারটি পুরসভার অর্ধেকেরও বেশি ওয়ার্ডে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান কেন? গত বিধানসভার ভোটের হার ধরে রাখা গেল না কেন? বামেরাই (Left Front) বা কী করে বহু ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থান দখল করে নিল? এই সব প্রশ্নের জবাব পেতে বঙ্গ বিজেপির থেকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট নেবে দিল্লি। শুধু তাই নয়, যারা তৃতীয় বা চতুর্থ হয়েছে, তাদের প্রার্থী করা কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল, প্রার্থী নির্বাচন কতটা সঠিক ছিল, সেটাও জানতে চায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই সমস্ত প্রার্থীদের বায়োডাটাও দেখবে দিল্লি।

বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল ও চন্দননগর, এই চার পুরসভায় ধরাশায়ী বিজেপি (BJP)। চার পুরসভায় ভোট হওয়া মোট ২২৬ টি আসনের মধ্যে মাত্র ১২টি আসন দখলে এসেছে পদ্মের। আবার এই ২২৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২১টিতে বিজেপি নেমে গিয়েছে তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে। বিধাননগরে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭টি ওয়ার্ডে তৃতীয় হয়েছে বিজেপি প্রার্থীরা। আর দুটি ওয়ার্ডে চতুর্থ। অর্থাৎ, কংগ্রেসের (Congress) থেকেও পিছনে। শিলিগুড়ির ৪৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টি ওয়ার্ডে তৃতীয় ও ২টি ওয়ার্ডে চতুর্থ। চন্দননগরে ২৯টি ওয়ার্ডে তৃতীয় ও দুটিতে চতুর্থ। আর আসানসোলে ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি ৩৮টি ওয়ার্ডে তৃতীয় স্থানে ও দুটিতে চতুর্থ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আলোচনা চাই’, চলতি সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল ধনকড়]

যখন ভোটে সন্ত্রাসের যুক্তিকে খাড়া করা হচ্ছে তখন যেখানে দল তৃতীয় বা চতুর্থ হয়েছে সেখানে কি যুক্তি দেবে বর্তমান রাজ্য নেতৃত্ব? দলের মধ্যেই এই প্রশ্ন উঠেছে। কী যোগ্যতা দেখে তৃতীয় ও চতুর্থ হওয়া প্রার্থীদের বাছা হয়েছিল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। চার পুরভোটের ফলে বঙ্গ বিজেপির উপর ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতারা, এমনটাই খবর দলীয় সূত্রে। একে দলের মধ্যে বিদ্রোহ চলছে। জেলায় জেলায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ চরমে রাজ্য বিজেপির বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। বাংলায় দলের এই টালমাটাল অবস্থা নিয়ে রাজ্য নেতাদের উপর এমনিতেই বিরক্ত কেন্দ্রীয় নেতারা। যখন রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থাৎ অমিতাভ চক্রবর্তী (Amitabha Chakraborty) ও তাঁর টিমের দু-একজন তৎকাল বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে রাজ্যে দল পরিচালনায় ব্যর্থতার অভিযোগে সরব বিক্ষুব্ধ শিবির। তখন চার পুরভোটের ফলে ব্যর্থতার পর টিম অমিতাভর বিরুদ্ধে আরও বেশি করে অভিযোগের আঙুল উঠছে। পুরভোটে খারাপ ফল নিয়ে দিল্লি বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

[আরও পড়ুন: SSC গ্রুপ সি: বেতন বন্ধের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে কর্মীরা]

উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ভোট মিটলেই মার্চ মাসের মাঝামাঝি সংগঠন নিয়ে বাংলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন জেপি নাড্ডা, বি এল সন্তোষরা। তার আগে অবশ্য ওয়ার্ডভিত্তিক দলের ফলাফল কী হয়েছে তা দিল্লিতে পাঠানো হচ্ছে রাজ্য শাখার তরফে, এমনটাই খবর দলীয় সূত্রে। সামনেই আবার ১০৮টি পুরসভার ভোট। সেই ভোটের দিকেও নজর রাখছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ফলে যথেষ্ট চাপে বঙ্গ বিজেপি। বিশেষ করে শিলিগুড়ি ও আসানসোলে এত খারাপ ফল মানতে পারছেন না বিজেপি নেতারা। শিলিগুড়ি ও আসানসোলে বোর্ড গঠনের আশা দেখেছিলেন তারা। শিলিগুড়ি-আসানসোল নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা বিস্তারিত রিপোর্ট চান। এই দুই জায়গায় বিজেপির সংগঠনের রাশ ক্রমশই আলগা হচ্ছে বিজেপির। পুরভোটের ফল অন্তত তেমনটাই বলে দিচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement