রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাম নামের ধার কমেছে। এবার বাংলা দখলে দুর্গতিনাশিনী দুর্গাই ভরসা বিজেপির। রবিবার, বিধায়ক-সাংসদদের বৈঠকে এমনটাই ইঙ্গিত মিলল। সেখানে দলের সাংসদ-বিধায়কদেরকে দুর্গাপুজোকেও জনসংযোগের হাতিয়ার করার পরামর্শ দিয়েছেন মুকুল রায়।
[আরও পড়ুন: আরও সংকটে কংগ্রেস! এবার ইস্তফা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার]
বিগত লোকসভা নির্বাচনে ‘জয় শ্রীরাম’ হুঙ্কারে বাংলায় হিন্দুত্বের আবেগ জাগিয়ে তুলতে সফল হয়েছে গেরুয়া শিবির। যার ফল মিলেছে ভোটবাক্সে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাম নামে বেশ রেগে যাচ্ছিলেন। তবে অধিক ব্যবহারে খানিকটা ধার কেটেছে এই অস্ত্রের। ফলে এবার ব্রহ্মাস্ত্র হতে চলেছে দুর্গাপুজো। গতকালের বৈঠকে দলের সাংসদ-বিধায়কদেরকে দুর্গাপুজোকেও জনসংযোগের হাতিয়ার করার পরামর্শ দিয়েছেন মুকুল রায়। তাঁর সাফ নির্দেশ, কলকাতা, শহরতলির পাশাপাশি জেলায় জেলায় দুর্গাপুজো কমিটিগুলিতে যুক্ত হতে হবে। ৪০ থেকে ৪২ হাজার পুজো হয়। শাসকদলের নিয়ন্ত্রণের বাইরেও অনেক পুজো রয়েছে। সেগুলিতে আধিপত্য বাড়াতে হবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় উপস্থিত থাকলেও বৈঠকের রাশ ছিল মুকুলের হাতেই।
এমনিতে ছেলের কীর্তিতে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে বিজয়বর্গীয়। তার ওপর মুকুলের ক্রমবর্ধমান প্রভাবে, বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছে নয়া সমীকরণ। প্রসঙ্গত, বাংলায় সদস্য সংগ্রহের টার্গেট এক কোটি বেঁধে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এদিন বৈঠকে দলের সাংসদ-বিধায়ক এবং সদ্য লোকসভা ভোটে যাঁরা প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁদের উদ্দেশে কৈলাস বলেন, এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারলেই আগামী দিনে রাজ্যে সরকার গড়া সম্ভব। বাংলায় পরিবর্তনের লক্ষ্যেই এই সদস্য সংগ্রহ অভিযান। এ প্রসঙ্গে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, অমিত শাহ বলেছিলেন পার্টির সদস্য সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়াতে হবে। সেটা হয়েছে বলেই বিজেপি তিনশোর বেশি আসন পেয়েছে। বাংলায় গুন্ডাগিরি, বুথ দখল না হলে লোকসভা ভোটে এবার বিজেপি ২৫টিরও বেশি আসন পেতে পারত বলে দাবি করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কৈলাস বলেন, তৃণমূল এখন ডুবন্ত জাহাজ। তাই কর্মীদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটা কি ক্যাপ্টেনের মতো কাজ!
[আরও পড়ুন: সন্তানদের বিদেশে পাঠিয়ে রাজ্যের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নষ্ট, নজরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভূমিকা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.