ফাইল ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের শেষ দফার ভোট (West Bengal Assembly Election) পর্ব মিটলেই বুথ ফেরত রিপোর্ট নিয়ে পর্যালোচনায় বসবে গেরুয়া শিবির। আট দফার পর ২৯২টি কেন্দ্রের মধ্যে কত আসন আসতে চলেছে ঝুলিতে তা নিশ্চিত করতে এই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হবে। কত আসন আসতে পারে রাজ্যের তরফে বুথ ফেরত সমীক্ষার একটা রিপোর্ট শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানোর কথা বঙ্গ বিজেপির। সমস্ত বুথের সভাপতি ও মণ্ডল কমিটি থেকে সমীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট নিয়ে পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির শীর্ষ নেতারা জোরের সঙ্গে দাবি করে আসছেন এবার বাংলায় দু’শোর বেশি আসন পাবে বিজেপি (BJP)। প্রতি দফার পরই দলের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট জমা পড়েছে। সেই সংখ্যা নিয়ে এখনই বিজেপি নেতারা কিছু বলতে নারাজ। বৃহস্পতিবার বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও কলকাতার মোট ৩৫টি আসনে ভোট হল। এই ৩৫টি আসনের মধ্যে একটা বড় অংশের আসন বিজেপির দখলে আসবে বলে মনে করছেন রাজ্য নেতারা। তাই আজ শেষ দফার ভোট মিটলেই বুথ ফেরত সমীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানো হবে। যদিও শীর্ষ নেতারা প্রকাশ্যে বলেছেন, শেষ দু’দফার ভোট হচ্ছে বিজেপির ব্যবধান বাড়ানোর লড়াই। তবে অষ্টম দফার ভোটের পর বুথের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত নয় নেতৃত্ব।
বলতে গেলে শেষ পর্বের ভোট এক প্রকার তৃণমূলের গড়ে। ভোট ভাগাভাগি, ধর্মীয় মেরুকরণের মতো একাধিক ইস্যু থাকার পরেও রাজ্যের শাসকদল আশাবাদী যে, তাদের গড় অটুট থাকবে। উলটে বিরোধী গড়ে আরও ভাঙন ধরে মিশবে তাদের সঙ্গে। চার জেলার মোট ৩৫টি আসনে ভোট। ২০১৬ সালে এই আসনগুলির মধ্যে বিজেপি মাত্র মালদহের একটি আসন জিতেছিল। ২০১৯-এই ছবিটা আমূল বদলায়। বীরভূমে রয়েছে ১১টি আসন। মালদহে বাকি ১২টির মধ্যে ছয়টি আসন। মুর্শিদাবাদের ২২টির মধ্যে ১১টি আসন। আর কলকাতার ১১টির মধ্যে সাতটি আসন। এই ক’টি আসনে আজ ভোট। গত বিধানসভার ফল বলছে, তৃণমূল এর মধ্যে জিতেছিল ১৭ টি আসন। বাকিগুলির মধ্যে বামেরা তিনটি, কংগ্রেস ১৩টি আর জোট সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জিতেছিল একটিতে। অর্থাৎ পুরো আধাআধি ভাগ। এখান থেকেই লোকসভা ভোটে বিজেপির চূড়ান্ত উত্থান।
লোকসভা ভোটে বিধানসভার হিসাবে ১৯টি আসন পায় তৃণমূল। বিজেপি পায় ১১টি আসন। কংগ্রেস বাকি পাঁচটি। বামেদের কপালে কিছুই জোটেনি সেবার। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বামেদের সব ভোট বিজেপিতে পড়েছিল। তাই বিজেপি দ্রুতহারে উঠে এসেছিল। কিন্তু এই বিধানসভা ভোটে তার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করছে রাজ্যের শাসক দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.