রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বঙ্গ বিজেপিতে ‘বিদ্রোহ’ নতুন নয়। তা নিয়ে অস্বস্তিতে দলীয় নেতৃত্ব। অমিত শাহের সামনেই ফের প্রকট দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। শুক্রবার নিউটাউনের সাংগঠনিক বৈঠকে মঞ্চে উঠে সকলকে বক্তব্য রাখতে দিলেন না রাজ্য বিজেপি পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য।
দলীয় সূত্রে খবর, এদিনের সাংগঠনিক বৈঠকে অমিত শাহের সামনে অনেকেই বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন। তবে অমিত মালব্য নাকি সকলকে সুযোগ দেননি। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ লকেট চট্টোপাধ্যায় এদিনের বৈঠকে যোগ দিলেও তাঁকে কিছুই বলতে দেওয়া হয়নি। লকেটের মতো সেই তালিকায় নাম রয়েছে আরও অনেকের। দলীয় নেতৃত্বের একাংশের মতে, ‘বিক্ষুব্ধ’ শিবিরের সকলকেই নাকি বাদ দেওয়া হয়েছিল। মালব্যের পছন্দমতো বাছাই করা মাত্র কয়েকজন নেতানেত্রীকে বক্তব্য রাখতে দেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপির রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের সেভাবে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তারপর থেকে একে একে ‘বিদ্রোহ’ শুরু করেন বহু নেতা। খোদ শান্তনু ঠাকুরও আন্দোলনের সুর চড়ান। একাধিক নির্বাচনে বিজেপি ভরাডুবির পরেও ফের দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। নব্য এবং আদি বিজেপি সংঘাত প্রকট হয়ে ওঠে। সাংগঠনিক ‘দুর্বলতা’ই যে পরাজয়ের অন্যতম কারণ, তা জানান বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। লকেট চট্টোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারির মতো নেতারা ‘বিদ্রোহে’ শামিল হন। জয়প্রকাশ মজুমদার দলবদলও করেন। তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি।
সম্প্রতি পাট শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অর্জুন সিং। দিল্লিতে বৈঠকের পরেও বরফ গলেনি। আগামী ৯ মে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র না বেরলে দলীয় শীর্ষনেতৃত্বের বিরুদ্ধেও সুর চড়াতে দু’বার ভাববেন না, সে হুঁশিয়ারি আগেই দিয়ে রেখেছেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। একের পর এক নেতাদের ‘বিদ্রোহে’ অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। তার মাঝে মালব্যের এহেন আচরণ যে দলের ফাটল আরও চওড়া করল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.