রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: একুশের মতো চব্বিশের ভোটের আগেও বাংলায় দুর্গাপুজোর ময়দানে নামতে চাইছে বিজেপি। প্রতি ব্লকে অন্তত একটি করে পুজোয় সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে হবে বিজেপির কার্যকর্তাদের। দলের তরফে জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে নির্দেশিকা। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, দুর্গাপুজোর সঙ্গে দলের নেতা, কর্মীদের নিবিড় ভাবে যুক্ত হতে হবে। সক্রিয়ভাবে পুজোয় ব্লক নেতা এবং কর্মকর্তাদের যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব।
এমনিতে চব্বিশের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha) আগে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোয় কলকাতায় আসতে পারেন এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রী। ইজেডসিসিতে (EZCC) বঙ্গ বিজেপির উদ্যোগে হওয়া পুজো এবারও হবে কি না তা এখনও ঠিক হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন ক্লাব ও পুজো কমিটিকে ধরার কাজে নেমে পড়েছে বিজেপি নেতারা। কারণ, বেশিরভাগ পুজো কমিটিই তৃণমূল প্রভাবিত। রাজ্যের শাসকদলের নেতারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত সিংহভাগ ক্লাবের সঙ্গেই। তাই দুর্গাপুজোর ময়দানে কীভাবে ঢোকা যায় তার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
পুজোতে এবারও বাংলায় আনার চেষ্টা হচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দিয়েও ষষ্ঠীর দিন ভারচুয়ালি বঙ্গবাসীকে শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আসলে বাঙালির সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা দুর্গাপুজোকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরেছেন। রেড রোডে পুজোর কার্নিভাল সারা বিশ্বে নজর কেড়েছে। সেটার পালটা হিসাবে লোকসভা ভোটের আগে দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে ফের ময়দানে নামতে সক্রিয় হয়েছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরা কলকাতায় আসবেন। সল্টলেকের একটি পুজোর একবার উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিকে, গত বছর অবশ্য ভোট না থাকায় সেভাবে দুর্গা পুজো নিয়ে মাতামাতি করতে দেখা যায়নি কেন্দ্রীয় নেতাদের। কার্যত নমনম করে হয়েছিল ইজেডসিসিতে বিজেপি পরিচালিত পুজো। অথচ ভোটের বছর ফের ঘটা করে পুজো নিয়ে মাতামাতি শুরু করেছেন গেরুয়া নেতারা। শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের সব প্রান্তেই পুজোই সক্রিয় হতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.