মলয় কুণ্ডু: স্পষ্ট সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপির আঁতাত। পুরভোটের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বড়তলা থানার সামনে অবস্থানে বসেছে বিজেপি (BJP), কংগ্রেস (Congress) এবং বাম (CPIM) নেতৃত্ব। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ভোট বাতিলের দাবি জানালেন তাঁরা। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের দাবি, এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে অভিযোগ করেছেন তা একেবারে সত্য, রবিবার পুরভোটের দিন সেটাই হাতেনাতে প্রমাণিত হয়ে গেল।
এতদিন তৃণমূল নেত্রী বলে এসেছেন, সিপিএম-কংগ্রেস ও বিজেপি আদপে জগাই-মাধাই ও গদাই। এদিন যেন সেই চিত্রই দেখা গেল ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বড়তলা থানা এলাকায়। রবিবার দুপুরে ভোটে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে থানার সামনে অবস্থানে বসেন সিপিএম প্রার্থী শ্রাবণী চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, পুর নির্বাচনে বেনিয়ম হচ্ছে। ভোট বাতিল করতে হবে। এর পর তাঁর বিক্ষোভে যোগ দেন কংগ্রেস প্রার্থী মৌমিতা কালি। একইসঙ্গে বিক্ষোভে বসেন বিজেপি নেতা-কর্মীরাও। সকলের মুখেই এক রা, বাতিল করতে হবে পুরভোট।
বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসকদল। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, কলকাতায় শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। বিরোধীদের সংগঠন নেই, ভোট পাবে না জেনেই এসব করছেন। একইসঙ্গে তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শামিল হয়েছে কলকাতাবাসী। তাঁরা অন্য কোনও দলকে ভোট দেবে না। বিরোধীরা ক্রমাগত কুৎসা করে ভোট টানার চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। তাই এখন ভোট বয়কটের ডাক দিচ্ছে তিন বিরোধী দলই। প্রমাণ করে দিচ্ছে তারা আসলে এক দল।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী বারবার অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোট এবং বিজেপি- একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বাম-কংগ্রেস আদপে গেরুয়া শিবিরকে সুবিধা করে দিতে চায়। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু এবার তাদের সেই আঁতাঁত-ই ফাঁস হয়ে গেল বলেই দাবি তৃণমূলের।
এ নিয়ে বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বসে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএমের নিজেদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। ওদের কাজ শুধু তৃণমূলের উন্নয়ন ব্যাহত করা। আগে যা পর্দার আড়ালে হতো, আজ তা প্রকাশ্যেই চলে এল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.