স্টাফ রিপোর্টার: একুশের ভোটে বিপর্যয়ের পর প্রথম বড় কর্মসূচি। বুথ সংগঠন তলানিতে। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ভাঙা সংগঠন নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে জমায়েতের সংখ্যা বাড়ানোটাও রীতিমতো কঠিন তা বিলক্ষণ জানেন মুরলীধর সেন লেনের নেতারা। তাই নবান্ন (Nabanna) অভিযানের আগে দলের মধ্যে ঐক্যের ছবি দেখাতে বঙ্গ বিজেপির তিন শীর্ষ নেতাকে নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ার নির্দেশ দিল দিল্লি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জেলায় জেলায় যাওয়ার নির্দেশ দিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনটাই সূত্রের খবর। একইসঙ্গে লক্ষ্য, এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে দলের পালে হাওয়া তোলাও।
৭ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। সেই কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার দলের রাজ্য দপ্তরে প্রথম প্রস্তুতি বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) জানান, নবান্ন অভিযানকে সফল করতে সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীরা (Suvendu Adhikari) জেলায় জেলায় আন্দোলন ও প্রস্তুতি বৈঠক করবেন। লকেটের দাবি, ৭ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযান ঐতিহাসিক আন্দোলন হবে। জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা কত রয়েছে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করে তিনি বলেন, টার্গেট কত সেটা চমকই থাকুক।
এই নবান্ন অভিযানের আগেই অবশ্য হাওয়া গরম করতে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)। নবান্ন অভিযানের দিন ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা রাখতে হবে। দলের কর্মীদের এমনই পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার বারাসতে দলীয় কর্মসূচিতে এসে তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। দলীয় কর্মসূচির দিন হিংসা আর প্ররোচনা ছড়াতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই বার্তা দিয়েছেন বলে পালটা আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কুণালবাবু বলেন, “সব প্ররোচনামূলক কথাবার্তা। ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা, এ তো পুরোদস্তুর হিংসার প্ররোচনা, গন্ডগোল করার প্ররোচনা। এগুলি বলে খবরে ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন। নিজেদের অন্য গোষ্ঠীর সঙ্গে রেষারেষি করছেন। হেরো বিজেপি, ভোট আসবে আর হারবে। তার জন্য তৃণমূল কেন মাথা ঘামাবে।”
এদিকে, বাগনানে বিজেপির রাজ্য নেতা অনুপম মল্লিকের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, এই ঘটনায় তাদের কেউ জড়িত নয়। নবান্ন অভিযান কর্মসূচির আগেই ২২ আগস্ট রাজ্যে আসছেন বিজেপির নয়া কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। ওইদিন হেস্টিংস কার্যালয়ে রাজ্য পদাধিকারী, জেলা সভাপতি ও জেলা ইনচার্জ ও জোনের পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বনশল (Sunil Bansal)। বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই প্রথম বৈঠক হবে সুনীল বনশলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.