(বাঁদিকে) কুণাল ঘোষ এবং (ডানদিকে) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক পদ এবং তারকা তকমা হারিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তবে তা সত্ত্বেও অনুগামীদের পাশে পেয়ে আবেগতাড়িত তিনি। এদিন কেঁদে ফেলতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। কুণালের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাও। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে অধীর চৌধুরী সকলেই পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর।
বুধবারই আমহার্স্ট স্ট্রিটে এক রক্তদান অনুষ্ঠানে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন কুণাল। তিনি বলেন, প্রার্থী বা জনপ্রতিনিধি হিসাবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Banerjee) থেকে পিছিয়ে নেই তাপস। তাঁর দরজা সারা দিন, সারা রাত দলের কর্মী এবং সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকে। ঘটনাচক্রে সেই মন্তব্য করার কয়েক ঘণ্টা পরই তৃণমূলের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলে দেওয়া হয়, কুণালকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হয়েছে। তাঁর মন্তব্য দলের অবস্থান নয়। তৃণমূলের (TMC) ওই বিবৃতিতে কড়া ভাষায় বলে দেওয়া হয়েছে, “সাম্প্রতিককালে কুণাল ঘোষের একাধিক মতামত অবস্থানের পরিপন্থী। এটা স্পষ্ট করে দেওয়া দরকার ওই মন্তব্যগুলি কুণালের নিজস্ব। সেগুলিকে যেন তৃণমূলের মতামত মনে না করা হয়। শুধুমাত্র তৃণমূলের সদর দপ্তর থেকে যে মন্তব্য করা হচ্ছে সেগুলিই দলের বক্তব্য।” আর তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে তৃণমূলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও বাদ কুণাল।
তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মতে, “তৃণমূল দলটা নিজেদের মধ্যে গণতান্ত্রিকতা বজায় রাখে না। এরা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।” কুণালের পাশে দাঁড়িয়েছেন বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “সত্যকে সত্য বলুন। সত্যর জন্য যুদ্ধ করুন। আমরা মানসিক, নৈতিকভাবে আপনার পাশে থাকব। সত্যকে সত্য বলছেন ভালো লাগছে। আপনাকে মুখপাত্র বানিয়ে ব্যবহার করেছে।” কুণাল ইস্যুতে নরম সুজন চক্রবর্তীও। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যও শাসক শিবিরের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.