ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউনেস্কোর থেকে হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো। তাই এবার আরও ধুমধাম করে হবে দুর্গোৎসব। এই আনন্দ দ্বিগুণ করতে ক্লাবগুলির অনুদানের অর্থ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার করা হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) এহেন ঘোষণার পর থেকেই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে শাসক দলকে। যেখানে বকেয়া, ঋণের বোঝার মতো বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যেই ‘কান্নাকাটি’ করে রাজ্য সরকার, সেখানে ‘খয়রাতি’ করতে অর্থের অভাব নেই। এভাবেই আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। এমনকী ওই অর্থে রাজ্য কী কী উন্নতি করতে পারত, সেই হিসাবও তুলে ধরল বিজেপি (BJP)। যার পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।
প্রায় ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদানের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ হিসাব বলছে, এর জন্য রাজ্য সরকারের আনুমানিক খরচ ২৫৮ কোটি টাকা। এই অর্থ ক্লাবগুলিকে না দিলে রাজ্যের কী কী উন্নতি হত, তার হিসেব লিখিত আকারে দাখিল করেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য মহার্ঘভাতা দিতে পারছে না রাজ্য। কোনও ক্ষেত্রেই উন্নয়ন নেই। এই পরিস্থিতিতে টাকা বিলোচ্ছে দিশাহীন সরকার। এই অর্থ নিয়ে কোনও ক্লাবকর্তা হাত তুলে নৃত্য করলে তাঁদের বাড়ির লোকেরাই তাড়া করবেন। তখন কোনও পুজো কমিটি এই সরকারকে জনরোষ থেকে বাঁচাতে পারবে না।
এই অর্থ দিয়ে রাজ্যের কী উন্নতি হত, সে প্রসঙ্গে শমীক দাবি করেন, ওই টাকায় প্রায় ৫২ কোটি মিডডে মিল দেওয়া সম্ভব হত। উচ্চ প্রাথমিকে (পড়ুয়া পিছু ৭.৪৫ টাকা) ৩৪ কোটি ৬৩ লক্ষের বেশি মিডডে মিলের জন্য খরচ করা যেত। তা নাহলে, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে বেডপিছু ৫০ হাজার করে ধরলে মোট ৫১,৬০০টি শয্যা বাড়ানো যেত। ৭০ হাজার টাকা দিয়ে একটি করে নলকূপ তৈরি করলে পানীয় জলের সমস্যা অনেকটা মেটানো সম্ভব হত। শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নতিতেও এই অর্থ ব্যয় করা যেত। উচ্চমানের ল্যাবরেটরি বানানোর জন্য রাজ্যের ২৫৮টি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলকে এক কোটি টাকা করে দেওয়া যেত। তাছাড়া ২ টাকা কেজি দরে ১ কোটি ২৯ লক্ষ কেজি চালও কিনতে পারত রাজ্য।
শমীকের হিসেবনিকেষের পালটা দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি এতদিন বলত, বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না। এখন ইউনেস্কোর সম্মান ও অনুদান নিয়ে গা জ্বলছে কেন?’’ সঙ্গে যোগ করেন, দুর্গাপুজোর সঙ্গে বিরাট পরিমাণ অর্থনীতিও যুক্ত। প্রান্তিক অসংগঠিত শ্রমজীবীদের হাতে অর্থ পৌঁছে দিতেই বছরে একবার এই উদ্যোগ নেয় রাজ্য। একইসঙ্গে কেন্দ্রকে রাজ্যের বকেয়া মেটানোর কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.