নিরুফা খাতুন: মাসিক অধিবেশনের মাঝেই ডেঙ্গু নিয়ে উত্তাল কলকাতা পুরসভার। বাম- কংগ্রেস-বিজেপি একসঙ্গে ওয়াকআউট করল অধিবেশন। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা।
বুধবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে ডেঙ্গু নিয়ে মুলতবি প্রস্তাব নিয়ে আসে কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক। কংগ্রেস কাউন্সিলর এর প্রস্তাবে সহমত জানিয়েছে বিজেপি ও বামেরা। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ কেএমসিকে (KMC) ‘কলকাতা ম্যালেরিয়া কর্পোরেশন’ বলে কটাক্ষ করে বলেন, “ডেঙ্গুতে রাজ্যে ৫২ হাজার মানুষ আক্রান্ত। কলকাতায় রোজ মৃত্যু হচ্ছে আর ডেপুটি মেয়র বলছে পরিসংখ্যান সেই অনুযায়ী কম। তিনি যেভাবে তথ্য দিচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে, ডেপুটি মেয়র বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সিইও। আমরা চাই পুরসভা সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুক।”
এরপরই বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস কাউন্সিলররা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়ে অধিবেশন বয়কট করেন। বিরোধীদের অধিবেশন বয়কট ঘিরে মেয়র বলেন, এতে স্পষ্ট বাম ও রাম একসঙ্গে রয়েছে। বিক্ষোভ অবস্থান চলাকালীন মেয়র অধিবেশন শেষ করে নিজের দপ্তরে ঢুকে যান।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হতেই রাজ্যে দাপট দেখাতে শুরু করেছে ডেঙ্গু। ক্রমশ রাজ্যজুড়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।ডেঙ্গু প্রাণ কেড়েছে বহু মানুষের। রীতিমতো আতঙ্কে রাজ্যবাসী। পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। সরকারের নির্দেশ, সমস্ত হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা ফিভার ক্লিনিক চালাতে হবে। প্রকোপ বেশি এমন এলাকার বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল যেমন পিজি, বেলেঘাটা আইডি, হাওড়া জেলা, শ্রীরামপুর জেলা হাসপাতাল, শিলিগুড়ি পুর হাসপাতাল ২৪ ঘণ্টা টেস্টের ব্যবস্থা থাকবে।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় আশাকর্মীদের ১০০ শতাংশ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। তাঁরা প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘুরে দেখবেন কোথাও জঞ্জাল বা জল জমছে কি না। কারও বাড়িতে কেউ অসুস্থ কি না। টেস্ট বাড়াতে হবে। জ্বর দেখলেই পরীক্ষা করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে আট থেকে ১০ হাজার রক্তপরীক্ষা করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.