ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ডিএ আন্দোলনের নেপথ্যে রাজনীতি কাজ করছে। বহুদিন আগে থেকেই বলে আসছেন শাসক দলের নেতারা। শনিবার নবান্নের সামনের প্রতিবাদী যৌথ মঞ্চের ধরনা যেন সে কথাই বলছে। এদিন ফের একমঞ্চে দেখা গেল বামফ্রন্ট এবং বিজেপি নেতাদের।
ধরনা মঞ্চে এদিন পরপর আসেন বিজেপি (BJP) ও সিপিএম (CPIM) নেতারা। আসেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। দিলীপবাবু আন্দোলনকারীদের বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “এই সমস্যাগুলির কথা আমি ব্যক্তিগতভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব, যাতে রাজ্য সরকার তাদের কর্মচারীদের দাবিদাওয়া দ্রুত মেনে নেন।” মহম্মদ সেলিমও ডিএ নিয়ে সরকারের গড়িমসিকে কাঠগড়ায় তোলেন।
দিলীপবাবু বা সেলিমের ওই মঞ্চে যাওয়া নিয়ে পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) জবাব দেন। তাঁর কথায়, “ওদের আন্দোলনের পদ্ধতি, ওরা কীভাবে আন্দোলন করবেন, কাকে আহ্বান জানাবেন, কাকে জানাবেন না, তার পিছনে কতটা রাজনীতি আছে, কতটা রাজনৈতিক সংগঠনের ইন্ধন আছে, এগুলো ওইভাবে উপরে উপরে বলা যায় না। ওরা কী করবে ওদেরই জিজ্ঞেস করুন।”
এদিকে এদিনের ওই মঞ্চ থেকেই ডিএ বৃদ্ধি, সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ, সরকারি চাকরি প্রার্থীদের দ্রুত চাকরি দেওয়ার মতো দাবিদাওয়া না মানলে লাগাতার ধর্মঘট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। সেক্ষেত্রে নতুন বছরের শুরুতেই জানুয়ারি মাসে শুধু লাগাতার ধর্মঘট করাই নয়, নবান্নর (Nabanna) সামনে বাসস্ট্যান্ডে আমরণ অনশন করার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। শনিবার নবান্নর কাছে বাসস্ট্যান্ডে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধরনা অবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে অবস্থানকারীরা একথা জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.