রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদির জনসভায় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে রবিবার এসপিজির আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হল কলকাতা পুলিশের। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধিরাও। সভায় যাতে কোনওরকম বিশৃঙ্খলা না হয়, নিরাপত্তা যাতে একেবারে আঁটসাঁট থাকে তা নিয়ে আলোচনা হয় এসপিজি ও পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে। ৩ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম ভোট প্রচারে আসছেন মোদি। ওইদিন প্রথমে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে সভা করবেন। তারপর ব্রিগেডে আসবেন তিনি।
ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছেন, ব্রিগেডের সভায় আট লাখ লোক আসবে। জনসমুদ্র হবে ব্রিগেডে। লোকসভা ভোটের আগে ব্রিগেডে রেকর্ড জমায়েত করে গেরুয়া শিবিরের পালে হাওয়া তুলতে চাইছে বিজেপি। ভাল জনসমাগম হবে ধরে নিয়েই মোদির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে। যাতে বনগাঁ ও মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর আগের সভার মতো কোনও বিশৃঙ্খলার পুনরাবৃত্তি না হয়। মোদির মূল মঞ্চ ছাড়াও আরও দুটি ছোট মঞ্চ থাকছে। কোন মঞ্চে কারা বসবে, কোন দিক দিয়ে কারা ঢুকবে, ছাউনির জন্য যে হ্যাঙ্গার লাগানো হচ্ছে সেগুলিও দেখে এসপিজি ও পুলিশ। জানা গিয়েছে, তিনটি রো-তে মোট চারটি করে ১২টি হ্যাঙ্গার থাকছে। কিছুটা ফাঁক দিয়ে ছাউনি হচ্ছে। যেটা জানা গিয়েছে, মূল মঞ্চে মোদির সঙ্গে দলের দক্ষিণবঙ্গের লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীরা থাকবেন। মূল মঞ্চের দুপাশের দু’টি মঞ্চে একটিতে রাজ্য নেতারা। অন্যটিতে জেলা সভাপতি ও জেলা নেতৃত্ব বসবেন। মূল মঞ্চের সামনে ডি জোন। তারপর শুরু হচ্ছে ছাউনি। যেখানে দর্শকাসন থাকছে। মূল মঞ্চ তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। ক্রেনের সাহায্যে আলুমিনিয়ামের রেলিং তোলা হচ্ছে উপরে।
[আরও পড়ুন: আসানসোলের ‘পচা’ তৃণমূল নেতাদের প্রভাবে রুচিবোধ হারাচ্ছেন মুনমুন, কটাক্ষ বাবুলের]
এদিকে, ৩ এপ্রিল শিলিগুড়ি ও ব্রিগেড সমাবেশের পর ৭ এপ্রিল ফের কোচবিহারে আসবেন নরেন্দ্র মোদি। কোচবিহারে ১১ এপ্রিল ভোট। তাই তার আগে ৭ এপ্রিল কোচবিহারে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের কর্মী-সমর্থকরা থাকবেন। সাতদফা ভোটের প্রতি দফার আগে সাতবার রাজ্যে আসবেন মোদি। এরপর আবার ১০ এপ্রিল বুনিয়াদপুরে সভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সারা দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যেও রবিবার বিজেপির ম্যায় ভি চৌকিদার কর্মসূচি হয়। রাজ্যে ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির ভিডিও কনফারেন্স হয়। বর্ধমান-দুর্গাপুর ও পুরুলিয়া এই দুটি কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা না হওয়ায় সেই দুটি কেন্দ্র বাদ রাখা হয়েছিল। উত্তর কলকাতায় ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ম্যায় ভি চৌকিদার কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, উত্তর কলকাতা লোকসভায় দলের প্রার্থী রাহুল সিনহা, রাজ্য নেতা শিশির বাজোরিয়া, কাউন্সিলর মীনা দেবী পুরোহিত, জেলা সভাপতি দীনেশ পাণ্ডে প্রমুখ।
এদিকে, রবিবার রাজ্য বিজেপি দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন রাহুল সিনহা। রাহুলের প্রশ্ন, পাহাড়, জঙ্গলমহলে যদি শান্তি রয়েছে তাহলে ভোটের জন্য সেখান থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরাতে দোষ কোথায়? বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের অভিযোগ, এনআরসি নিয়ে পাহাড়বাসীকে ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল। তিনি বলেন, গোর্খা ভাই-বোন, হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ এরকম যারা শরণার্থী তাদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। ২০১৯ এর ভোটের পরে রাজ্যে তৃণমূল আর থাকবে না বলে দাবি রাহুলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.