সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তৎপর সিবিআই। এবার এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস(Birupaksha Biswas)। তিনি আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন।
শনিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি। সাংবাদিকরা একাধিক প্রশ্ন করেন তাঁকে। তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন কেন সেমিনার হলে ছিলেন? আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর আদৌ ঘনিষ্ঠতা ছিল কিনা – এমনই একাধিক প্রশ্ন করা হয় বিরূপাক্ষকে। সিজিওতে ঢোকার সময় তিনি বলেন, “আগে কথা বলে নিই, তার পর বলব।”
উল্লেখ্য, আর জি কর ঘটনার আবহে ভাইরাল ‘হুমকি’র অডিওকে কেন্দ্র করে চর্চায় এসেছিলেন বর্ধমান মেডিক্যালের প্যাথোলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। শোনা যাচ্ছিল, ৯ আগস্ট সকালে অর্থাৎ তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন নাকি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলে উপস্থিত ছিলেন বিরূপাক্ষ। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। শোনা যায়, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নাকি চলত তাঁর ‘দাদাগিরি’, ‘থ্রেট কালচার’। একের পর এক বিতর্কে নাম জড়ানো বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করে স্বাস্থ্যদপ্তর। তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয় কাকদ্বীপ হাসপাতালে। কিন্তু সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ চিকিৎসককে হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে বাধা দেন হাসপাতালের কর্মী, এলাকাবাসী। স্বাস্থ্যভবন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে বিরূপাক্ষকে সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলও সাসপেন্ড করে তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.