Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bird flu

ক্রমশ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু, হাঁস-মুরগির গোডাউনে নজর কলকাতা পুরসভার

এ বিষয়ে কী বলছেন চিকিৎসকরা?

Bird flu is increasing panic in kolkata | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:January 25, 2021 8:53 am
  • Updated:January 25, 2021 8:53 am  

স্টাফ রিপোর্টার: আতঙ্ক ছিলই। এবার প্রমাণ মিলল হাতেনাতে। ভোপালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিউরিটি অ্যানিম্যাল ডিজিজ প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছিল চার লরি মুরগি। প্রত্যেকটির শরীরে মিলেছে মারাত্মক এইচ৫ এন ওয়ান ভাইরাস। ফলে করোনা আবহে বার্ড ফ্লু নিয়ে আতঙ্ক চরমে। তবে ভোপালের ল্যাবরেটরির মুরগিগুলো হরিয়ানার ফার্মের। তবে সতর্ক রয়েছে কলকাতা পুরসভাও (Kolkata Municipal Corporation)।

পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিদায়ী মেয়র-ইন-কাউন্সিল জানিয়েছেন, বাজারে কড়া নজর রাখা হয়েছে৷ মুরগি, হাঁস মজুত করার জায়গায় ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা যাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কোনও বার্ড ফ্লু’র ঘটনা নজরে আসেনি। অ্যাভিয়ান ফ্লু বা বার্ড ফ্লু’র বীজ থাকে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসেই। সাধারণত পাখির শরীরেই এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। এইচ৫ এন১ ভাইরাসের জন্যই এই ইনফ্লুয়েঞ্জা। ভাইরাস পাখিদের মধ্যে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সাধারণত পোল্ট্রির পাখির মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশেষজ্ঞদের মত, বিশেষ ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। তবে এখন বার্ড ফ্লু সংক্রমণের চেয়ে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। যে কারণে মাথায় হাত মুরগি ব্যবসায়ীদের। জেলায় জেলায় কমেছে মুরগির বিক্রি। কমেছে দামও। প্রতি কিলোগ্রামে দাম কমেছে গড়ে ৩০-৪০ টাকা। কিন্তু মুরগি না খেয়ে অসুখ এড়ানো যাবে না বলেই জানিয়েছেন ক্যালকাটা স্কুল অফ মেডিসিনের প্রাক্তন ডিরেক্টর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কালীঘাটে উদ্ধার বস্তা ভরতি পোড়া টাকা, হুড়োহুড়ি স্থানীয়দের, এলাকায় চাঞ্চল্য]

ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্রাক্তন অধিকর্তা ডা. প্রতীপকুমার কুণ্ডু জানিয়েছেন, “মুরগির মাংস খেলে বার্ড ফ্লু হয় না। যাঁরা ভাবছেন মুরগি খেলে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হবেন ভুল ভাবছেন। যাঁরা মুরগি কাটেন অথবা পোল্ট্রি ফার্মে কাজ করেন তাঁদেরই বিপদ বেশি।” ডা. কুণ্ডুর ব্যাখ্যায়, অসুস্থ পাখির সংস্পর্শে এলে শরীরে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। বিশেষত যারা পোল্ট্রিতে কাজ করেন, তাঁদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত, সাধারণত একজন মানুষের শরীর থেকে অপর একজনের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে না। সেই সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের বিদায়ী মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন, কলকাতায় কোনও বড় হ্যাচারি নেই। সেই কারণে শহরের বাসিন্দাদের ভয় কম।

[আরও পড়ুন: কোভিড পরিস্থিতির বাধা পেরিয়ে বইপার্বণের স্বাদ পাবেন শহরবাসী, শুরু হচ্ছে ‘বইমেলা ২০২১’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement