Advertisement
Advertisement
Bimal Gurung

গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনড় থেকেও বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কছেদ, মমতার দ্বারস্থ বিমল গুরুং

এবারও মধ্যস্থতায় সেই পিকে? উঠছে প্রশ্ন।

Bimal Gurung vows to fight for Mamata Banerjee on Assembly Election 2021 at Kolkata| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 21, 2020 7:42 pm
  • Updated:October 21, 2020 8:15 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ঘর ওয়াপসি’? তা বললেও অত্যুক্তি হয় না বোধহয়। একদা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মোর্চার হয়ে কার্যত বিদ্রোহের সুর চড়ানো নেতা ফের ঘরে ফিরতে চাইছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হতে চান বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। বুধবার নাটকীয়ভাবে প্রকাশ্যে এসে একেবারে কলকাতায় পা রেখে সাংবাদিক সম্মেলনে একথাই বললেন তিনি। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনড় থেকেও বিজেপির প্রতি চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে জোট ছাড়ার কথাও বললেন। এও অভিযোগ তুললেন, বিজেপি প্রতিশ্রুতি রাখেনি। একুশের নির্বাচনে মমতার পাশে থেকে লড়াই করে তার জবাব দেবেন বিজেপিকে।

অজ্ঞাতবাস ছেড়ে আচমকা উদয় হয়েছেন মোর্চার বহিষ্কৃত নেতা বিমল গুরুং। বুধবার বিকেলে সল্টলেকের গোর্খাভবনে আসেন তিনি। আধঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও গোর্খাভবনের দরজা খোলা হয়নি, বাধা পেয়ে ফিরে যান। এরপর কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন গুরুং। পাশে ছিলেন মোর্চার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে NEET’তে দারুণ ফল, দরিদ্র পরিবারের রুনা খাতুনের জন্য গর্বিত গ্রাম]

প্রথমে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনড় মনোভাব প্রকাশ করেও বিজেপির তুমুল সমালোচনা করেন তিনি। স্পষ্টই জানান যে NDA’কে বাইরে থেকে তাঁরা সমর্থন করছিলেন, কিন্তু বিজেপি প্রতিশ্রুতিভঙ্গ করেছে। তাই সমর্থনের আর প্রশ্ন নেই। এরপরই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অকুণ্ঠ প্রশংসা করে বারবার বলেন যে নেত্রী প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। এখন পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই। তাও নেত্রী করে দেবেন বলে তিনি আশাপ্রকাশ করছেন। এরপর গুরুং রীতিমত সুর চড়িয়ে বলেন, ”একুশের নির্বাচনে মমতার হয়ে লড়াই করেই বিজেপিকে উপযুক্ত জবাব দেব।” গুরুংয়ের মুখে বারবার একথাও শোনা যায় যে তিনি ‘অপরাধী’ নন, তিনি একজন রাজনৈতিক নেতা।

[আরও পড়ুন: বিদ্যুৎমন্ত্রীর আশ্বাসই সার, পুজোর মরশুমে দীর্ঘ সময়ে বিদ্যুৎহীন দুর্গাপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা]

তিন বছর পর গুরুংয়ের এভাবে ফিরে আসার প্রেক্ষাপট কিন্তু ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছিল। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর মারফত পাহাড়ের একদা প্রতাপশালী নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছিল। এমনকী এ বিষয়ে রাজ্যের এক মন্ত্রীর ভূমিকার কথাও শোনা যাচ্ছে। তিন বছর আগে পাহাড়া ছাড়ার পর নেপাল লাগোয়া এক গ্রামে অজ্ঞাতবাসে ছিলেন গুরুং। এরপর বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ছেলের বিয়েতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। এ নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। UAPA মামলায় অভিযুক্ত একজন কীভাবে এমন প্রকাশ্যে দেশের ক্ষমতাসীন দলের এত ঘনিষ্ঠতা, সেই প্রশ্ন উঠে যায়।

আর বুধবার দেখা গেল, সল্টলেকের গোর্খাভবনের সামনে তাঁকে নিয়ে গেল এক পুলিশ। যেখানে পুলিশ তাঁকে দেখামাত্রই গ্রেপ্তার করার কথা, সেখানে সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি। তাতেই ধীরে ধীরে বোঝা যাচ্ছিল যে ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। গুরুংয়ের সাংবাদিক সম্মেলনের পর একথা বুঝতে কারও বাকি রইল না যে পাহাড়ের একদা প্রতাপশালী নেতাকে ফের পাশে পাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement