বিধান নস্কর, বিধাননগর: তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর চড় কাণ্ডে টেকনো সিটি থানার আইসিকে শোকজ করল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। গত বুধবার এই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট ভর্ৎসনার মুখে পড়ে। ওই দিন পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, সিসিটিভি কাজ করলেও, চড় কাণ্ডের ফুটেজ রেকর্ড হয়নি। অথচ রেস্তরাঁ মালিক হাতাহাতির বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ আদালতে জমা দিয়েছেন। তাহলে ওই ফুটেজ কোথা থেকে এল, এই প্রশ্ন ওঠে হাই কোর্টে। এই চাপানউতোরের পরই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফ থেকে টেকনো সিটি থানার আইসিকে শোকজ করা হল।
গত জুন মাসে শুটিং করার সময় গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে রেস্তরাঁ মালিককে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর(Soham Chakraborty) বিরুদ্ধে। যদিও পরে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন। তবে টেকনো সিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আক্রান্ত রেস্তরাঁ মালিক। অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেন রেস্তরাঁ মালিক। বিচারপতি অমৃতা সিনহা অনুমতি দেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিধাননগরের গোয়েন্দা বিভাগকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
রাজ্যের তরফে বুধবারের শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্টে জানানো হয়, সেদিনের চড় মারার ঘটনার কোনও সিসিটিভি ফুটেজই টেকনো সিটি থানায় সংরক্ষিত হয়নি। সিসিটিভি কাজ করলেও, ঘটনার বেশ কয়েকদিন আগে থেকে তা রেকর্ড হয়নি। টেকনো সিটি থানার ওসির কাছ থেকে গোটা ঘটনার ব্যাখা তলব করেছেন পুলিশ কমিশনার। থানার ওসির ব্যাখা থাকলে তা আদালতে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। হাই কোর্টের তরফে সস্ত্রীক রেস্তরাঁ মালিক এবং ম্যানেজারকে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, রেস্তরাঁ মালিক আনিসুর হক, তাঁর স্ত্রী সাহিল পারভিন এবং রেস্তরাঁর ম্যানেজারের বিরুদ্ধে এখনই গ্রেপ্তারির মতো কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। আগামী ৩১ জুলাই মামলার শুনানিতে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির হবে। তারই মাঝে টেকনো সিটি থানার আইসিকে শোকজ করল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.