অর্ণব আইচ: ভবানীপুর দম্পতি হত্যাকাণ্ডের পর থেকে মৃতদের মোবাইলের খোঁজ করছিলেন তদন্তকারীরা। অবশেষে পুলিশের হাতে খোয়া যাওয়া দুটি মোবাইলের মধ্যে একটি। মঙ্গলবার রাতে ধর্মতলা (Dharmatala) এলাকার একটি ম্যানহোলের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে সেটি। ইতিমধ্যেই ফোনের কললিস্ট খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
ভবানীপুরের গুজরাটি দম্পতি খুনের পরতে পরতে রহস্য। তদন্তকারীরা প্রায় নিশ্চিত যে পরিচিত কেউ এসেছিলেন সেদিন দম্পতির কাছে। সেই কারণেই তাঁরা খুলে দিয়েছিলেন দরজা। মনে করা হচ্ছে, দরজার কাছে দাঁড়িয়ে হাতে সেভেন এমএম পিস্তল নিয়ে খুনি টার্গেট করে রশ্মিতা শাহকে। প্রৌঢ়া তখন বিছানা থেকে নেমে সবে পাশের ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
তিনি মুখ ফেরাতেই আততায়ীর গুলি মাথার পিছন দিক দিয়ে ঢুকে বেরিয়ে যায় কান দিয়ে। যদিও তার আগেই অত্যন্ত নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে রশ্মিতার স্বামী অশোক শাহকে। কিন্তু কারা সেদিন এসেছিল শাহ দম্পতিকে, তা এখনও রহস্য। তবে খোয়া যাওয়া মোবাইলে ফোন করে শেষ লোকেশন পুলিশ জানতে পারে বড়বাজারের মেহেতা বিল্ডিং।
পুলিশ সূত্রে খবর, অশোক শাহ চিন থেকে টর্চ আমদানি করে কলকাতায় বিক্রি করতেন। নিজের অফিস ছিল না। বড়বাজারের মেহতা বিল্ডিংয়ে মেজ জামাইয়ের অফিসে বসতেন। এদিকে খোয়া যাওয়ার পর ফোনের শেষ লোকেশনও মিলেছে মেহেতা বিল্ডিং। ফলে এই ঘটনার নেপথ্যে ব্যবসায়ীক যোগ থাকার সম্ভাবনা ওড়ানো যাচ্ছে না। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কয়েকজনকে সন্দেহ করা হয়েছে। তাদের সন্ধান চলছে। খাস কলকাতার বুকে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতদের পরিবার-পরিজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.