সন্দীপ চক্রবর্তী: করোনা পরবর্তী সময়ে যাবতীয় অনিশ্চয়তা, আতঙ্ক কাটিয়ে অবশেষে রাজ্যে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের লগ্নিযজ্ঞ। নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে ২ দিনের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। উদ্বোধনী মঞ্চেই শিল্পক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। আদানি, জিন্দল, টাটা, হীর নন্দানি, গোয়েঙ্কা-সহ একাধিক গোষ্ঠীর শিল্পপতিরা হাজির এই মঞ্চে। সকলের মুখেই বাংলার বাণিজ্য পরিকাঠামোর প্রশংসা এবং বিনিয়োগের আগ্রহ। রাজ্যে তৈরি বিশ্বের বৃহত্তম মন্দির দেখে আপ্লুত বিশিষ্ট শিল্পপতি সজ্জন জিন্দল (Sajjan Jindal)। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS 2022)মঞ্চ থেকে তিনি বললেন, ”মায়াপুরে ৭০০ একর জমির উপর তৈরি বিশ্বের বৃহত্তম মন্দিরটি দেখে বিস্মিত আমি।”
বুধবার দুপুর নাগাদ বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (Biswa Banga Global Summit 2022) সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। শিল্পপতিরা একে একে বক্তব্য রাখেন। বাংলায় বিনিয়োগের জন্য নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এই মঞ্চেই শিল্পপতি সজ্জন জিন্দাল বলেন, ”মায়াপুরে ৭০০ একর জমিতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মন্দির তৈরি হয়েছে।” রাজ্যের তরফেই ৭০০ একর জমি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তীর্থক্ষেত্র মায়াপুরে (Mayapur)। সেখানেই বিশাল মন্দির তৈরি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। মন্দির চূড়াটি সোনার পাতে মোড়া। গগনচুম্বী মন্দিরের উপরের দিকটা আকাশি রঙের। এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মন্দিরের তকমা রয়েছে কম্বোডিয়ার আঙ্কোরভাট মন্দিরের। প্রচুর কারুকাজে সুসজ্জিত মন্দিরটি সত্যিই এক বিস্ময়। তবে মায়াপুরের মন্দির (Temple)তাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
শুধু মায়াপুরেই নয়, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে আদলে দিঘাতেও গড়ে উঠবে মন্দির। আসলে রাজ্যে আলাদাভাবে ধর্মীয় পর্যটন ক্ষেত্র গড়ে তুলতে আগ্রহী রাজ্য সরকার। তারই অংশ হিসেবে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির পরিকল্পনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার আগে মায়াপুরে তৈরি বিশ্বের বৃহত্তম মন্দির দেখে নিজের বিস্ময়ের কথা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চেই প্রকাশ্যে আনলেন শিল্পপতি সজ্জন জিন্দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.